পটপরিবর্তনের পর যে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুযোগ এসেছে, সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ভ্রাতৃত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেছেন, আপনাদের মাধ্যমে ছাত্র-যুবকসহ দেশবাসীর কাছে আহবান রাখতে চাই, আসুন প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ নয়, পারস্পরিক ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বে মাধ্যমে আমরা সকলে মিলে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই একটি বাসযোগ্য উন্নত ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করি।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দলের বর্ধিত সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ বিশেষ করে তরুণ সমাজ আজ এক ইতিবাচক গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংকীর্ণতা ভুলে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের কাজ করতে হবে। এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসররা এবং বাংলাদেশের শত্রুরা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্জনকে নস্যাৎ করার জন্য গভীর চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।
যুক্তরাজ্যে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। গত ৭ জানুয়ারি কুয়েতের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর তাকে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জনগণকে সম্পৃক্ত করে ‘ঐক্যবদ্ধ বিএনপি’ গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আমি যুক্তরাজ্য থেকে অসুস্থ অবস্থায় আপনাদের আহ্বান জানাতে চাই, আসুন জনগণকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে পূর্বের ন্যায় আন্দোলন, সংগ্রাম ও রাষ্ট্র পরিচালনার নেতৃত্ব প্রদানে আরো ঐক্যবদ্ধ এবং সুসংহতভাবে গড়ে তুলি।
বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে পরামর্শ রেখে খালেদা বলেন, ইস্পাত কঠিনে ঐক্যের মাধ্যমে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ওদের চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিতে হবে, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। আসুন, আমরা আগামী দিনগুলোতে শহীদ জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের আধুনিক সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করি এবং এতো ত্যাগের বিনিময় এই অর্জনকে সুসংহত এবং ঐক্যকে আরো বেগবান করি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, দেশ আজ এক সংকট সময় অতিক্রম করছে। আপনাদের এবং ছাত্রদের সমন্বিত আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিস্ট শাসকেরা বিদায় নিয়েছে। একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা- রাষ্ট্র মেরামতের ন্যূনতম সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য সকলের কাছে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করা।
স্বাআলো/এস