সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর দ্রুত মুক্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) আদালতের গারদখানা থেকেই তিনি মুক্তি পান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের গারদখানার ইনচার্জ পুলিশের এসআই মুরাদ হোসেন।
এর আগে বিকালে সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। খিলগাঁও থানাসহ পৃথক ছয় মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান এই জামিন দেন।
গতকাল থেকে একটি হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকাকালে অসুস্থ বোধ করায় তদন্ত কর্মকর্তা তাকে আদালতে হাজির করেন আজ। এসময় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এরপর সাবের হোসেনের আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন ছয়টি মামলায় জামিন চেয়ে পৃথক আবেদন করেন আদালতে।
শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলাগুলোর মধ্যে পল্টন থানায় দুইটি হত্যা মামলা, খিলগাঁও থানায় দুইটি হত্যা মামলা ও একই থানায় আরো দুইটি হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা হয় পৃথক মামলা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিন আদেশ দিলে আদালত কক্ষেই বিক্ষোভ করেন উপস্থিত আইনজীবীরা। তাদের কেউ কেউ গালাগালিও দেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে মকবুল নামে এক কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবের হোসেন চৌধুরীর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বাদীপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে, রবিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির এক দফা দাবি আন্দোলন কর্মসূচি ঘিরে সারা দেশের নেতাকর্মীরা যখন জড়ো হতে থাকেন, তখন আসামিরা বিএনপির সমাবেশ বানচালের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৬০০ জন আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। আসামিরা বিএনপি অফিসে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর করেন।
এ সময় পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ ও গুলি করেন। এতে মকবুল নামে বিএনপির এক কর্মী আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় মাহফুজুর রহমান নামে একজন গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আসামি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
স্বাআলো/এস