খুলনা বিভাগের অধিকাংশ এলাকার মতো যশোরেও তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
রবিবার (১১ মে) দুপুর ১২টা ২১ মিনিটে যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে তীব্র গরমে এই তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো, যা ‘রিয়েলফিল’ হিসেবে পরিচিত।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে।
অ্যাকুওয়েদার-এর তথ্য অনুযায়ী, এসময় যশোরে পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছিল, সাথে ছিল ঘণ্টায় ২২ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া। শহরের বায়ুমান বর্তমানে ‘দুর্বল’ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ, সোম-মঙ্গলবারে স্বস্তির বৃষ্টি?
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দেশের ৬২টি জেলার ওপর দিয়ে বর্তমানে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে যশোর অন্যতম। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।
তীব্র গরমের কারণে যশোরের রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা হয়ে পড়েছে। সকাল থেকেই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজনকে ঘরের বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষেরা এই অসহনীয় গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, সোমবার (১২ মে) দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টির কিছুটা সম্ভাবনা থাকলেও যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এই তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তবে মঙ্গলবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা কিছুটা স্বস্তি আনতে পারে।
এদিকে, তীব্র গরমের কারণে হিটস্ট্রোক, ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ বিভিন্ন মৌসুমি অসুস্থতা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ সময় ধরে রোদে অবস্থান না করার এবং শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও তরল খাবার গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
স্বাআলো/এস