নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে সাকিব হত্যার ঘটনায় এবার আদালতে আরো একটি মামলা করা হয়েছে। নিহতের বাবা মজনু হক বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুন) ৯ জনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন।
এই ঘটনায় থানায় আর কোন মামলা হয়েছে কিনা এই ব্যাপারে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া।
একই ঘটনায় এর আগে গত ৮ জুন অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে কোতোয়ালি থানায়ও একটি মামলা করা হয়েছিলো।
আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া-নারায়নপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম নুরু, সিরাজুল ইসলাম, ভাতুড়িয়া গাজীপাড়ার শফিয়ার মেম্বার, আল আমিন, রফিকুল ইসলাম, নারায়নপুরের মিরাজ, বেড়বাড়ির মিন্টু, আকবর এবং দাড়িপাড়ার আমির হোসেন।
বাদী মজনু হক জানিয়েছেন, তার ছেলে সাকিব হোসেন (১৮) রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। গত ৫ জুন যশোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের দিন ছিলো। ওইদিন বিকেল ৫টার দিকে সাকিব কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে চাঁচড়া মাগুরপট্টির মা আয়রন স্টোরের সামনে পৌছানো মাত্র সকল আসামি তাকে ঘিরে ধরে লোহার শাবল ও রডসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এসময় সাকিব মাটিতে পড়ে যায়। এরপরে সাকিবের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন যশোরের চিকিৎসকেরা। সাকিবের মা রওশনারা বেগম তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। কিন্তু সেখানে পৌছানোর আগেই সে মারা যায়। এরপর সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে তাকে দাফন করা হয়। ৮ জুন এই ব্যাপারে সাকিবের বাবা মজনু হক কোতোয়ালী থানায় এই মামলায় উল্লেখিত আসামিদের নাম উল্লেখ করে এজাহার দাখির করেন। কিন্তু পুলিশ সেই মামলাটি রেকর্ড না করে অজ্ঞাতনামা আসামিদে নিজেদের মনগড়া একটি এজাহার লিখে সাক্ষর করিয়ে সেই মামলাটি রেকর্ড করে। তাছাড়া ঘটনার ২০ দিন পার হলেও এই পর্যন্ত ওই মামলায় কোনো আসামি আটক হয়নি। ফলে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে থানায় মামলা নিলেও কোনো আসামিকে এই পর্যন্ত শনাক্ত বা কাউকে আটক করতে না পারায় ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এর আগে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে মামলা করা হলেও আদালতে আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন।
মামলাটি দায়েরের পরে বিচারক এই ব্যাপারে থানায় আর কোন মামলা রুজু হয়েছে কিনা সেই ব্যাপারে আগামি সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
স্বাআলো/এস