খুলনা ব্যুরো: খুলনা মহানগরীর ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। অধিকাংশ স্লুইস গেট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় রূপসা নদীর জোয়ারের পানি প্রবেশ করে লোকালয়ে।
বৃষ্টি আর আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে ওই দুইটি ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ড্রেন উপচে পানি প্রবেশ করে বাসাবাড়ির মধ্যে। ড্রেনের বর্জ্য জমে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এ দুর্ভোগের হাত থেকে মুক্তি চান এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ষাটের দশকে নির্মিত স্লুইস গেটগুলোর অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিদিন দুপুরে রূপসা নদীর জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে। তাছাড়া অপরিকল্পিত সড়ক ও ড্রেন নির্মাণ, নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ না করা, উন্নয়ন কাজে ঠিকাদারের ধীরগতিসহ কেসিসির কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় এখানকার মানুষের দুর্ভোগ কাটছে না।
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরিফ হোসেন মিঠু বলেন, তার ওয়ার্ডের ইসলামপাড়া, আমতলা, মোল্লাপাড়া, মুজাহিদপাড়া এবং মতিয়াখালী এই পাঁচটা এলাকা প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। বছর ৩-৪ ধরে এমন হচ্ছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এর একটা ব্যবস্থা করার আশ্বাস সবাই দিয়েছে কিন্তু তারা কোনো সমাধান পাননি। আর মূল সমস্যা হলো মাহাবুব ব্রাদার্স ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দুইটি স্লুইস গেট ভেঙে ফেলেছে। আর এদের কাজ এতো ধীরগতি যার কারণে তাদের দুর্ভোগ বাড়ছে। মেসার্স সেলিম নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানও বাঁধ দিয়ে কাজ করছে। এছাড়া স্লুইস গেটটা একেবারে খারাপ।
কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক আনিসুজ্জামান বলেন, চলমান উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হলেই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। খুলনা মহানগরীর পানি অপসারণের জন্য সাতটি পয়েন্টে ১৯টি স্লুইস গেট ও ৩৮টি আউটলেট রয়েছে।
এর মধ্যে তিনটি স্লুইস গেটে কাজ চলছে। নগরীর পানি অপসারণের জন্য রূপসায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বুস্টার পাম্প স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার সমস্যা কাটবে বলে আশা করেন তিনি।
স্বাআলো/এস