যশোর ড্রিম স্কুল অন্ড কলেজে সাবমারসিবল নষ্ট, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা

| September 4, 2024

রুহুল আমিন, যশোর: যশোরের কচুয়া ইউনিয়নের রায়মানিক একে বিশ্বাস ড্রিম স্কুল অন্ড কলেজে উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিসের বসানো দুইটি সাবমার্চেলই নষ্ট ও অকেজো হয়ে পড়েছে। পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আইরন ও দুগন্ধের কারণে শিক্ষার্থীরা পানি পান করতে পারছে না। ফলে শিক্ষার্থীদের পানির সমস্যা লাঘব হচ্ছে না। খাবার পানির জন্য গ্রামের সাধারণ মানুষের বাড়িতে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থী। যেটা শিক্ষার্থীর জন্য অত্যান্ত কষ্টকর। খাবার পানির জন্য নানাবিধ দুর্ভোগের অন্ত নেই। প্রতিষ্ঠানটির সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুতই সাবমার্চেবল দুইটি সংস্কার করে পানি খাওয়ার উপযোগী করা প্রয়োজন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রায়মানিক একে বিশ্বাস ড্রিম স্কুল অন্ড কলেজ সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রায়মানিক গ্রামে এক মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য যুগউপযোগী ও আধুনিক। রয়েছে আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, লাইব্রেরি ও সুসজ্জিত শ্রেণিকক্ষ। প্রত্যন্ত অঞ্চলে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা পৌছে দেয়ার জন্য অ্যাডভোকেট কেরামত আলী ও তার বড় সন্তান শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম জিল্লুর রশিদ স্কুল অ্যান্ড কলেজটি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত আপাতত এখানে ক্লাস নেয়া হয়। শিক্ষার্থীর সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার জন্য যশোর সদর জনস্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে দুইটি সাবমার্চেবল স্থাপন করেন। এক বছর আগে প্রথমে একটি সাবমার্চেবল স্থাপন করা হয়। যার গভীরতা ৫০০ ফুট। এই সাবমার্চেবল সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়েছে। পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আইরন পাওয়া যাচ্ছে। দুর্গন্ধের জন্য পানি পান করা তো দূরের কথা কোনো কাজে ব্যবহারও করা যাচ্ছে না। প্রতিষ্ঠান চত্ত্বরে গত ছয় থেকে সাত মাস আগে ১০০ ফুট গভীরতা সম্পন্ন একটি সালো টিউওয়েল স্থাপন করা হয়। সেটাও জনস্বাস্থ্য অফিসের পক্ষ থেকে স্থাপন করা হয়। সেটি দিয়ে কোনো রকম পানি উঠছে না। বর্ষার মৌসুমে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে গ্রীষ্মকালে পানি উঠার কোনো সম্ভবনা থাকবে না। তাই দ্রুতই সংস্কার করে পানি উঠার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুলতানা খাতুন জানায়, তাদের স্কুলের দুটি টিউওয়েলই নষ্ট হয়ে গেছে। পানি তেমন উঠছে না। একটি সাবমার্চেবল দিয়ে পানি উঠে। কিন্তু সেটা পান করার মত নয়। পানিতে অতিরিক্ত আইরন ও দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। পাশের বাড়িতে যেয়ে খাবার পানির জন্য।

৭ম শ্রেণির নাইমুর রহমান জানায়, স্কুলে পানি পান করার ব্যবস্থা নেই। সেই জন্য তাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে। দ্রুতই খাবার পানির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

১০ম শ্রেণির নাইমুর রহমান জানায়, স্কুল থেকে খাবার পানির জন্য অনেক দূরে যেতে হয়। সেইজন্য তাদের খুবই কষ্ট হয়। সাধারণ মানুষও বিষয়টি ভালভাবে নেন না। একই অভিযোগ করেন ৮ম শ্রেণির বর্ষা ইসলাম, ৭ম শ্রেণির রিয়াদ হোসেন, ৯ম শ্রেণির মোবারেক হোসেনসহ অনেকে।

প্রতিষ্ঠানের সহকারি প্রধান শিক্ষক শিমুল হোসেন বলেন, মাত্র এক বছরের মধ্যে সরকারিভাবে তাদের প্রতিষ্ঠানে একটি সাবমার্চেবল ও একটি সালো টিউওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে সাবমার্চেবলের পানিতে অতিরিক্ত আইরন বের হচ্ছে। সেই সাথে দুর্গন্ধের কারণে পানি কোন কাজেই লাগানো যাচ্ছে না। সালো টিউওয়েল থেকে পানিই বের হচ্ছে না। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসা প্রয়োজন নয়লে পানির সমস্যার সমাধান হবে না।

যশোর সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন জানান, কোনো প্রজক্টের সাবমার্চেবল বা সালো টিউওয়েল স্থাপন করা হয়েছে সেটি না দেখে কোন কিছু বলা যাবে না। পানির অবস্থান পরিবর্তন হলে এ ধরণের সমস্যা হতে পারে। এতে কিছু করার থাকে না।

স্বাআলো/এস