ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা

অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান তীব্র উত্তেজনার সরাসরি প্রভাব পড়ল ক্রিকেট বিশ্বে। শুক্রবার (৯ মে) ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ মে) নিরাপত্তাজনিত কারণে দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংসের মধ্যকার ম্যাচটি মাঝপথে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই ঘটনার পর থেকেই আইপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে জোরালো গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, তা-ই অবশেষে সত্যি হলো।

জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের ম্যাচ বাতিলের পর দুই দলের খেলোয়াড়দের বিশেষ নিরাপত্তায় ট্রেনে করে দিল্লিতে স্থানান্তর করা হয়। বিসিসিআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত টুর্নামেন্টের খেলা পুনরায় শুরু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

ফের ভারত–পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলা, বাড়লো উত্তেজনা

এদিকে, একই রকম পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি)। তারা পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫-এর বাকি ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পিসিবি এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে, পিএসএলের লিগ পর্বের বাকি চারটি ম্যাচ এবং প্লে-অফ পর্বের সবগুলো ম্যাচই সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে। খুব শীঘ্রই ম্যাচগুলোর নতুন তারিখ ও ভেন্যু ঘোষণা করা হবে।

এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানে অবস্থানরত অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের অনেকেই টুর্নামেন্ট ছেড়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে চাইছেন বলে জানা গেছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) জানিয়েছে, তারা প্রতিনিয়ত দুই দেশে অবস্থানরত তাদের ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, চলতি আইপিএলের ১৮তম আসরে এখন পর্যন্ত মোট ৫৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে ধর্মশালার পরিত্যক্ত ম্যাচটিও রয়েছে। গ্রুপ পর্বে এখনো ১২টি ম্যাচ বাকি ছিলো, যেগুলো লখনৌ (২টি), হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ (৩টি), দিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু (২টি), মুম্বাই ও জয়পুরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। এরপর প্লে-অফের ম্যাচগুলো হায়দরাবাদ ও কলকাতায় অনুষ্ঠিত হওয়ার সূচি নির্ধারিত ছিলো।

ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও বৃহৎ দুটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট এভাবে স্থগিত ও স্থানান্তরিত হওয়ার ঘটনাকে ক্রিকেট বিশ্বের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখছেন ক্রীড়া বিশ্লেষকরা। এই পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে এবং মাঠের ক্রিকেট কবে ফিরবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা।

স্বাআলো/এস