সম্পাদকীয়: ময়মনসিংহের ফুলপুরে পুকুরে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ১৩ জুন উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মৃত শিশু তিনটি হলো নুসরাত (৮), সানিয়া (৮), ও মেহেদী (৬)।
ফুলপুর থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক তথ্য অনুযায়ী, দেশে আত্মহত্যা এবং সড়ক দুর্ঘটনার পর পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৫০ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়; যার মধ্যে ৩২ জনই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু। দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হলো পানিতে ডুবে মৃত্যু। গ্রামেই পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটে। শহরের শিশুদের জলাশয়ের সংস্পর্শে যাওয়ার সুযোগ কম হয়।
গ্রামগুলোতে অধিকাংশ বাড়ির ১০-২০ মিটার দূরত্বে পুকুর বা জলাশয় থাকে। অভিভাবকদের অসতেনতায় অনেক শিশু জলাশয়ে পড়ে মারা যায়।
যশোরে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
অভিভাবকরা যদি সচেতন হয় তাহলে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ রোধ করা সম্ভব। আর সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এ ধরনের মৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা যায়। পানিতে ডুবে মৃত্যুর ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিশুর মৃত্যু হয় নদী, পুকুর, জলাশয়, নালা বা খালে পড়ে। এক্ষেত্রে সদ্য
হাঁটতে শেখা শিশুরাই থাকে সবচেয়ে ঝুঁকিতে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সাধারণত শিশুদের নয় মাস বয়সে পৌঁছালে এ ঝুঁকি বেড়ে যায়। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের যেন চোখে চোখে রাখা হয় সেজন্য প্রান্তিক এলাকার অভিভাবকদের সচেতন করে তুলতে হবে। সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করা জরুরি। শিশুদের সাঁতার শেখানো গেলে ৯৬ শতাংশ মৃত্যু প্রতরোধ করা যায় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গ্রামভিত্তিক সাঁতার শেখানোর কিছু উদ্যোগ নিতে দেখা যায়। এটাকে আরো বিস্তৃত করতে হবে।
স্বাআলো/এস/বি