সম্পাদকীয়: ভাটা সমূহে ইট তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সেই সাথে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ফসলিজমির মাটি কাটার। প্রত্যন্ত এলাকায় যেতে হবে না। প্রধান সড়ক দিয়ে গেলেই শহর লাগোয়া এলাকা থেকে যতদূর যাওয়া যাবে ততদূর দেখা যাবে যেন পাহাড় তৈরি করা হচ্ছে। ইট তৈরির জন্য মাটি এনে জমা করার দৃশ্য এটি। আর এই মাটির সবটাই ফসলী জমি থেকে কেটে আনা হচ্ছে।
স্কাভেটর মেশিন দিয়ে জমির মাটি কাটা হচ্ছে। ফলে জমিগুলোতে কোনো ফসল ফলানো যাচ্ছে না। এতে একদিকে কৃষকরা যেমন
তাদের আবাদের জমি হারাচ্ছেন, অন্যদিকে ভূ-প্রকৃতির ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় না। ফসলিজমির মাটির সবরকম জৈব উপাদান বিদ্যমান থাকে মাটির ওপরিভাগে। এই জৈব উপাদান যদি জমি হারিয়ে ফেলে তাহলে তা ফিরে পেতে তিন-চার বছর অপেক্ষা করতে হয়। এর সঙ্গে পরিবেশও তার ভারসাম্য হারায়। জীববৈচিত্র্যের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে।
কৃষিজমির মাটি কাটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এসব কাজে জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা ও দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে সরকারি আইনে। কিন্তু যশোরের প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে এ আইন প্রয়োগ করেনি।
ফসলিজমির মাটি কেটে বিক্রি করার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সারা দেশের চিত্র এটি। এ অবস্থার টেকসই সমাধান করতে হলে যারা এই মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
স্বাআলো/এস/বি