সম্পাদকীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি। দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না, সে যেই হোক, দুর্নীতি করলে রক্ষা নেই। যে-ই দুর্নীতি করবে, আমরা ধরবো। ২৯ জুন জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা এ কথা বলেন। এ সময় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
দুর্নীতির অভিযোগের অন্ত নেই। ইউপি মেম্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকারি বিভিন্ন অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশের বিরুদ্ধে তো অভিযোগ আছেই। সরকারের কিছু জনকল্যাণমূলক প্রকল্প আছে। এক শ্রেণির চাটার দল সেগুলো চেটে পুছে খেয়ে শেষ করছে। ১৫ টাকা কেজির চাল নিয়ে যে চালবাজি এ দেশে হয়েছে বা হচ্ছে তার খবর পত্র-পত্রিকায় পাতা জুড়ে ছাপা হচ্ছে। কিন্তু চালবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কতটুকু নেয়া হয়েছে তা আজ পর্যন্ত অন্ধকারেই থেকে গেল। জনসাধারণ জানতে পারলো না।
গরিব মানুষের কল্যাণে বর্তমানে বেশ কিছু ভাতা চালু আছে। কিন্তু এসব ভাতাগুলো হলো, বয়ষ্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহিতা ভাতা, প্রতিবন্ধীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠির জন্য উপবৃত্তি, পঞ্চাশোর্ধ বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠির বিশেষ ভাতা, হিজড়া ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও মাতৃত্বকালীন ভাতা। কিন্তু সব জায়গায় চলছে লুটপাট। এ নিয়েও পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
কেন যে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না তা কেউ জানে না। রাজনৈতিক চাপ আছে কিনা তা রাজনৈতিক নেতারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে এ চাপ যদি থাকে তাতে আর কাজ হবে না। কারণ প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়চেতা মনের মানুষ।
তিনি যে কথা বলেন তা বাস্তবায়ন করেই ছাড়েন।তাঁর কথায় জাতি মানষিক শক্তি পেয়েছে।
বিষ্ময়কর ঘটনা হলো এই যে অবাধ দুর্নীতিতে যারা গা ভাসিয়েছেন তারাই কিন্তু মঞ্চ মাত করছেন দুর্নীতি বিরোধী কথা বলে। সৎ ও নিষ্ঠাবন কর্মী দিয়ে ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহ করলেই দুর্নীতির ভয়াবহ সব চিত্র পাওয়াযাবে। আর এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কোনোরূপ দুর্বলতা দেখানো যাবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে গোটা জাতি এর বিষাক্ত ছোবলে আক্রান্ত হবে। জাতিকে এ ভয়াবহ পরিণতি থেকে রক্ষা করতেই হবে।
স্বাআলো/এস/বি