যশোরে সাফল্যের ধারা অব্যাহত

| May 12, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। পাশের হারের পাশাপাশি জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও আশানুরুপে হয়েছে।

রবিবার (১২ মে) এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

যশোর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শোয়াইব হোসেন জানান, তার প্রতিষ্ঠানে ২৫৩ জন পরীক্ষার্থী ছিলো। অসুস্থতার কারণে একজন পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। পরীক্ষায় অংশ নেয়া ২৫২ জনই পাস করেছে। তার মধ্যে ১৭১ জন জিপিএ-৫, ৬৯ জন এ গ্রেড পেয়েছে। বাকিরা অন্যান্য গ্রেডে পাস করেছে।

পুলিশ লাইন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনোতোষ কুমার নন্দী জানান, তার স্কুলে ৮৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। একজন ফেল করেছে। পাশের হার ৯৮.৮২ শতাংশ। ফলাফলে তিনি আনন্দিত। তবে ওই একজন পরীক্ষার্থী পাস করলে আরো ভালো ষোলাআনা পূরণ হতো।

যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র দেবনাথ জানান, তার স্কুলে ২৫৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন ফেল করেছে। পাশের হার ৯৯.৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮০ জন। এ গ্রেড পেয়েছে ৬৬ জন। বাকিরা অন্যান্য গ্রেড পেয়েছে।

এমএসটিপি স্কুল অন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম জানান, তার প্রতিষ্ঠানে ২৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৩৪ জন পাস করেছে। চারজন পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। পাসের হার ৯৮ শতাংশ। ৪১ জন জিপিএ-৫ ও ১২৪ জন এ গ্রেড পেয়েছে। বাকিরা অন্যান্য গ্রেড পেয়েছে।

সম্মিলনী ইন্সটিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মিহির কান্তি সরকার জানান, তার প্রতিষ্ঠানে ৬১ জনের মধ্যে একজন ফেল করেছে। ১২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ফলাফলে প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষক-কর্মচারিরা খুশি। আগামীতে আরো ভাল করার চেষ্টায় আছি।

যশোর আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন জানান, তার স্কুলে ৫৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন অনুপস্থিত ছিলো। পরীক্ষায় অংশ নেয়া সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। ফলাফলে তিনি খুশি।

নিউটাউন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া শিরিন জানান, তার প্রতিষ্ঠানে ৭৬ জনের মধ্যে ২ জন ফেল করেছে। পাশের হার ৯৭.৩৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ জন।

বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম শরিফুল আনাম জানান, তার প্রতিষ্ঠানে ১২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২১ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯৬.০৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন। এই ফলাফলকে সামনে রেখে তারা আগামী আরো ভালো করবেন।

ভাতুড়িয়া হাইস্কুল ও কলেজের অফিস সহকারি রবিউল ইসলাম জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানে ৮৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮১ জন পাস করেছে। পাসের হার ৯৩.২৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন শিক্ষার্থী।

যশোরের ঝিকরগাছার ধানপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানে ৮৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮৪ জন পাস করেছে। এর মধ্যে একজন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো। পাসের হার ৯৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন শিক্ষার্থী।

স্বাআলো/এস