সম্পাদকীয়: যশোরে ১৯ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবাসহ দুই বোনকে আটক করেছে র্যাব-৬। আটককৃতরা হলো, বকচর কবরস্থান রোডের ফরিদা বেগম ও বকচর মাঠপাড়ার ফাতেমা বেগম। তাদের কাছ থেকে মাদক বিক্রির এক লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাকিব হোসেন জানান, বড় বোন ফরিদার বাড়ির কমডের ফ্লাস ট্যাংকির ভেতর থেকে ইয়াবা ও টাকা উদ্ধার করা হয়। ফরিদার আপন ছোট বোন ফাতেমার খাটের নিচ থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, তারা দুই বোনসহ তাদের একটি চক্র রয়েছে যারা যশোর থেকে ইয়াবা নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকে। তারা নিজেরাই বোরকা পরে শরীরের বিভিন্ন অংশে অভিনব কায়দায় ইয়াবা লুকিয়ে চলে যায় দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।
মাদক পাচারকারীরা এতটাই দুর্বিণীত যে মহিলা হয়েও মাদক বহন করতে তাদের বুক কাঁপে না। সীমান্তের একটি সিন্ডিকেটের ছত্রছায়ায় রয়েছে মাদক চোরাচালানের হোতারা। তারাই বড় বড় চালান নিয়ে আসছে। কিছু ধরা পড়লেও দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে যাচ্ছে। আমরা মনে করি অহেতুক চুনো পুটির পেছনে দৌড়িয়ে মাদক দমনের কাক্সিক্ষত সফলতা পাওয়া যাবে না, যতক্ষণ না এর হোতাদের দমন না করা যাবে। যারা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে, মানুষের অকল্যাণে মাদকের ব্যবসা করেও সমাজের মধ্যমণি হয়ে হয়ে বসে আছে তাদের কালো হাত আগে ভাঙতে হবে। দাঁতালের পিঠে সজোরে আঘাত করলে যেই না গুটিয়ে আসে সেই পালের অন্যরা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সেইরূপ মাদক ব্যবসার পালের গোদার পিঠে বাড়ি পড়লে চুনোপুটি মাদক বহনকারীদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাবে না।
যদি পালের গোদারা নির্বিঘ্ন থাকে তা হলে শত প্রতিকুলতার মধ্যেও মাদক তৃণমূলে চলে আসবে। আমাদের কথা হলো মাদকের শীর্ষের শক্তিকে
আগে প্রতিহত করা হোক। পালের গোদা যদি সনাক্ত করা যায় তাহলে এ কথা নিশ্চিত বলা যায় মাদক চোরাচালান অনেকটা বন্ধ হবে।
স্বাআলো/এস/বি