জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: আবারো তীব্র দাপদাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা। টানা ৩৭ দিন তাপদাহের পর গত ১৯ দিন তাপমাত্রা কম থাকার পরেও জেলার ওপর দিয়ে আবার বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। আজ শনিবার(২৫ মে) বিকাল ৩ টায় দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক সাত ডিগ্রি তাপমাত্রা । দুপুর ১২টায় ছিলো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ।
চুয়াডাঙ্গা মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভ্যানে ধাক্কা, যুবক নিহত
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসে জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান ,গত ৬ মে বৃস্টিপাতের পর চুয়াডাঙ্গা কিছুদিন তাপমাত্রা কম ছিলো । আবার কয়েকদিন ধরে এ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। বাতাশে আর্দ্রাতার পরিমান বেশি থাকায় প্রচুর ঘাম ঝরছে ও গরমের তীব্রতা বেশি অনুভুত হচ্ছে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় প্রচন্ড গরমে কদর বেড়েছে তালশাঁসের। এবার তীব্র খরায় আমবাগান শূণ্য।তাই আম বাজারে তেমন আম এখনো আসেনি। মধুমাস জৈষ্ঠ্যে মাসের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন রোডে বিক্রি হচ্ছে লিচুসহ কচি তালশাঁস। চুয়াডাঙ্গা শহরই নয় গ্রাম গঞ্জের রাস্তার মোড়ে মোড়ে জমে উঠেছে লোভনীয় ফল তালশাঁসের কদর । সেই সাথে বিক্রির ধুম। বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের প্রিয় তালশাঁস। এক হালি শাঁস বিক্রি
হচ্ছে আকারভেদে ১৫/২০ /৩০ টাকায়।
চুয়াডাঙ্গা সদরে নাঈম ও আলমডাঙ্গায় মঞ্জিলুর বিজয়ী
ফিরোজ রোডের মহিলা কলেজ রোডে তালশাঁস বিক্রি করছিলেন গাইডঘাট থেকে আসা শাহ জামাল । তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে তালগাছ থেকে থাউকো আকারভেদে ৫০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায় তালশাঁস কিনেছেন। তিনি জানান প্রতিদিন তালগাছ থেকে শাঁস নিয়ে এসে শহরে বিক্রি করলে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা হাজিরা হয় । প্রতি বছর এই সময় তিনি তালশাঁস বিক্রি করে থাকেন। ১৫ থেকে ২০দিন তালশাঁস বিক্রি হয়ে থাকে । অন্যসময় তিনি কাঠ বা বাশ বিক্রি জীবিকা নির্বাহ করেন।
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে চুয়াডাঙ্গায় ৩ জনকে জরিমানা
চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজ পাড়ার নবী ছদ্দিন জানান, গাছ ভেদে তিনি ৪০ টি তালগাছ কিনেছেন। আজ তিনি প্রায় চার হাজার টাকায় তালশাঁস বিক্রি করেছেন। তিনি জানান মাস ব্যাপি প্রায় ৯০ হাজার টাকার তালশাঁস বিক্রি করবেন। শহরের সরকারী রোডে তালশাঁস বিক্রেতা বিপুল জানান, তার বাড়ী কুষ্টিয়া জেলার মনোহরদি গ্রামে । তার শ্বশুর বাড়ি চুয়াডাঙ্গার নিহালপুর গ্রামে । তিনি এই মৌসুমে নিহালপুন অবস্থান করে তালশাঁস বিক্রি করে থাকেন। চুয়াডাঙ্গা পৌর ও গাইডঘাট এলাকায় ৪০ টি গাছ কিনেছেন। প্রতিদিন তিনি প্রায় পাঁচ হাজার টাকার তালশাঁস বিক্রি করেন। গত সপ্তাহ থেকে শুরু করে প্রায় এক মাস তালশাঁস বিক্রি করবেন । বছরের অন্য সময় তিনি গ্রামে গ্রামে ফল বিক্রি করে থাকেন। এছাড়াও জেলার দামুড়হুদার দেউলি গ্রামের হুমায়ুন জানান, তিনি একই উপজেলার কুতুরপুর গ্রামে ৫০ টি গ্রাছ কিনেছেন । তিনি প্রতিদিন গাছ থেকে শাঁস পেড়ে এনে কলেজ রোডে বিক্রি করেন। গ্রামের চেয়ে শহরে মাঁসের চাহিদাও বেশিও লাভও বেশি হয়।
রাত পোহালেই চুয়াডাঙ্গার দুই উপজেলায় ভোট
মহিলা কলেজ রোডের ওষুধ ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামন জানান ,তপ্ত আবহাওয়ায় শরীর শীতল রাখতে গ্রীষ্মের বিভিন্ন ফলের জুড়ি নেই । এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রসালো তালশাঁস। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,ভিটামিন,ফাইবার এবং খনিজ উপাদান মেলে এতে। এছাড়া তালশাঁসের বেশিরভাগ অংশই জলীয়। ফলে শরীর দ্রুত পানি হারালে তা পূরণ করতে তালশাঁস সহায়তা করে।
তালশাঁস কিনতে আসা বুলবুল বলেন,তালশাঁস কাঁচা থাকলে খেতে মজা।
স্বাআলো/এস