জলবায়ু সমস্যায় বিশ্বকে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে

সম্পাদকীয়: বিশ্বায়নের যুগে শুধু নিজের দেশকে নিয়ে ভাবার দিন শেষ হয়েছে। আজকে এমন সব বিষয় আছে যা একটি দেশে দেখা দিলে তার প্রভাব সাত-সমুদ্র-তের নদী পেরিয়ে অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। তার মধ্যে জলবায়ুর প্রভাবটি প্রধান।

এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করলে স্পষ্ট হয় সেটি হলো কোভিট-১৯। চীন দেশে যার সূচনা তা আজ সারা বিশ্বে আতংকের রূপ নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম রাখতে উন্নত দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমাতে তাৎক্ষণিক ও উচ্চভিলাসী অ্যাকশন প্ল্যাননেয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকেও প্রশমন ব্যবস্থার দিকে মনোযোগী হতে হবে। বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ১০০ মার্কিন ডলার তহবিল নিশ্চিত করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত সপ্রদায়ের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়ার মাধ্যমে এই তহবিলের ৫০ শতাংশ অভিযোজন ও ৫০ শতাংশ প্রশমনের জন্য কাজে
লাগানো। উদ্ভাবন এবং জলবায়ু অর্থায়নে বড় অর্থনীতির দেশ, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে । অর্থনীতি এবং কার্বন নিরপেক্ষ প্রযুক্তিতে রূপান্তর হওয়া প্রয়োজন।

কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় বৈশ্বিক সংকট শুধু সবার সম্মিলিত দৃঢ় পদক্ষেপের মাধ্যমেই মোকাবিলা করা যেতে পারে।

যেখানে যত উন্নয়নই হোক না কেন তার মূল লক্ষ্য কিন্তু মানুষ। উন্নয়নের অনুষঙ্গ হিসেবে যা ব্যবহৃত হচ্ছে এবং যা কিছু নির্গমন হচ্ছে তা মানুষের অনেকটাই ক্ষতি করছে। কিন্তু তাই বলে তো আর উন্নয়ন থামিয়ে রাখা যাবে না।

এগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব দূর করার পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুবা ওই উন্নয়নই যত নষ্টের মূল হবে। বিশ্বজুড়ে উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় যে বহুমুখী সমস্যা তার অনেকটাই আজ মানুষের সৃষ্ট। অতএব মানুষকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নতুবা উন্নয়নের জোয়ার একদিন বিশ্বকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।

স্বাআলো/এস/বি