সম্পাদর্কীয়: মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভিপুর গ্রামে সালেহা খাতুন (৪০) নামের এক নারীকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী। নিহত সালেহা খাতুন তিন সন্তানের জননী। ১০ মে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে চাঁদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহিম প্রধানিয়াকে যশোর থেকে আটক রয়েছে র্যাব । ৯ মে রাত ১টার পর বেনাপোল ডিগ্রি কলেজ এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা। আটক ইব্রাহিম চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বকচর গ্রামের বাসিন্দা যশোর সদর উপজেলার বড় হৈবতপুর গ্রামে কামনা সরকার (৩৫) নামে এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পিতৃ পক্ষের অভিযোগ স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে পরিকল্পিতভাবে মুখে কীটনাশক ঢেলে হত্যা করেছে।
বিভিন্ন সময় নারী নির্যাতনের বিচার দাবিতে আন্দোলন কম হয়নি। কিন্তু কিছুতেই থামছে না এ অপরাধ। নির্যাতনকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
কেন এমনটি হচ্ছে তা সমাজ বিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবেন। অপরাধীরা যেন আষ্কারা পাচ্ছে। অপরাধ ঘটাতে দুর্বৃত্তরা সাহস পাচ্ছে। অব্যাহত এ অপরাধের কারণে একদিন দেখা যাবে এ জাতি অসভ্য জাতির কলঙ্ক তিলক ললাটে উঠেছে।
আমরা যেন আদিম যুগে ফিরে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত নারী নির্যাতনের যে ঘটনা ঘটছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। নির্যাতনের হররোজের যে চিত্র তা তুলে ধরা সম্ভব নয়।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ কি। এসব ঘটনায় প্রমাণ হয় আমাদের সমাজ অসুস্থ হয়ে গেছে। এটা সভ্য সমাজের লক্ষণ নয়। আমাদের সমাজের কোনো একটা জায়গায় রোগ হয়ে গেছে। অসুস্থ হয়ে গেছি আমরা সবাই।
এক একটি নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে আর বিভিন্ন জনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে পত্র-পত্রিকায়। আর এ সব দেখে নির্যাতনের শিকার স্বজনদের হা-হুতাশ করা ছাড়া কিছুই থাকছে না। সামাজিক ব্যবস্থার কারণে তাদেরকে সারা জীবন দীর্ঘশ্বাস বুকে চেপে ধরে নিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
এই যখন অবস্থা তখন বিজ্ঞজনেরা বলছেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে নারী ও শিশু নির্যাতেনর মতো ঘৃণ্য ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। এসব অপরাধের বিচার করতে আমাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। কারণ প্রত্যেক ঘটনায় জড়িতরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। তার একমাত্র পরিচয় সে নির্যাতনকারী। সেই দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই আমাদের দেখা উচিত।
স্বাআলো/এস