আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামপন্থীদের ভোট একত্রিত করার উদ্যোগে নেমেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
এ লক্ষ্যেই বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বৈঠকে বসে পাঁচটি নিবন্ধিত ইসলামী দল।
এই বৈঠকে অংশ নেয়-বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত মজলিস এবং আয়োজক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বৈঠকে তারা আসনভিত্তিক একক প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে একমত হন।
নির্বাচন যথা সময়ে না দিলে অন্তর্বর্তী সরকারকেও পালাতে হবে: কর্নেল অলি
সমন্বিত নির্বাচনের উদ্যোগ
সূত্রগুলো জানায়, ৩৫ বছর পর ইসলামী দলগুলো এমন উদ্যোগে একত্র হলো। এর আগে ১৯৯০ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ‘ইসলামী ঐক্যজোট’ গঠন হয়েছিলো। এবারো একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যেখানে প্রত্যেক দল থেকে দুইজন করে মোট ১০ সদস্য থাকবেন।
জামায়াত ও অন্যান্যদের ভূমিকা অনিশ্চিত
জামায়াতে ইসলামী আনুষ্ঠানিকভাবে এই বৈঠকে ছিলো না, তবে বরিশালে চরমোনাই পীরের সঙ্গে জামায়াতের আমিরের এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে ভোট একত্র করার বিষয়ে মতৈক্য হয়েছিলো বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে জামায়াত এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
সংস্কারের আগে নির্বাচন হলে ফের চোর-ডাকাত নির্বাচিত হবে: জামায়াত নায়েবে আমীর
বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু
বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন, আসনভিত্তিক প্রার্থী নির্ধারণ এবং ১৯ এপ্রিল নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসলামি দলগুলো এ কমিশন বাতিলের দাবি জানায় এবং তা না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়।
নেতৃবৃন্দের বক্তব্য
ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, ছোট দলগুলো বড় দলগুলোর প্রলোভনে পড়ে বিকাশে ব্যর্থ হয়। তবে আমরা যদি নীতিতে অটল থাকি, তাহলে ভালো সম্ভাবনা আছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, আমরা পাঁচটি দল একসঙ্গে বসেছি, এখন যার যার চাহিদাপত্র নিয়ে আবার বসবো।
চরমোনাইয়ের পীর বলেন, আমরা মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি। এখন লক্ষ্য, ইসলামী দলগুলো যেনো একটি বাক্সে ভোট পাঠাতে পারে।
অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন ছাড়াও অংশ নেন- মাওলানা মামুনুল হক, আহমদ আবদুল কাদের, মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মুসা বিন ইজহারসহ গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি নেতৃবৃন্দ।
স্বাআলো/এস