সম্পাদকীয়: যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া গ্রামীণ ডায়গনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিকে অপারেশনকালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নিহতের স্বজনরা ক্লিনিকে ভাঙচুর চালিয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনায় ক্লিনিকের কর্মীরা পালিয়ে গেলেও রোগী নিয়ে আসা দালালকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ২৪ জুন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্বজনরা বলেছেন, ২৪ জুন ভোর ৪টার দিকে যশোর সদর উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী লিমা খাতুনের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। তাকে রুপদিয়া গ্রামীণ ডায়গনস্টিক সেন্টারে নেয়া হয়। এরপর তাকে কোনো প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া ও রক্তের ব্যবস্থা না করেই সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। অপারেশনকালে প্রসূতি মারা গেলে কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে রক্তস্বল্পতার কারণে জ্ঞান ফিরছে না জানিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। খুলনায় নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান রোগী অনেক আগেই মারা
গেছে। মারা যাওয়ার সংবাদে স্বজনরা ক্লিনিকে গিয়ে তালা ঝুলানো দেখতে পায়। পরবর্তীতে দুপুর ১টার দিকে নবজাতক ছেলে সন্তানটি মারা গেলে স্বজনরা ওই ক্লিনিকে ভাঙচুর চালায়।
চিকিৎসার কাজে কতবড় অমনোযোগী হলে এরূপ ঘটনা ঘটে তা সহজেই অনুমান করা যায়। বেঁচে থাকার বা বাঁচিয়ে রাখার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না। তবে রোগী চিকিৎসায় যতের গ্যারান্টি তো ডাক্তারকে দিতে হবে।
নতুবা তাকে জবাবদিহি করতে হবে। কিন্তু দিনের পর দিন ডাক্তারদের অমোনাযোগীতার ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে, এর কোনো জবাবদিহিতা নেই, নেই কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও।
ডাক্তারদের মানবতার সেবার চেয়ে টাকা আয়ের প্রবণতা তাদেরকে পেয়ে বসেছে। তদন্ত রিপোর্ট ক্লিনিকের মালিকের বিরুদ্ধে যাবে বলে সবাই আশা করছেন। সমাজে ধুরন্ধরদের অপরাধ চাপা দেবার কলা কৌশল অনেক জানা আছে। যার প্যাচে পড়ে সাধারণ পাবলিক পথ হারিয়ে ফেলে। তারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়।
আকলিমার ঘটনাটির পরিণতি এমনিই হবে কিনা তা ভাববার বিষয়।
স্বাআলো/এস/বি