শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর কাওলায় সিভিল এভিয়েশন মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিলান উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়ার এক ছেলে কোকো মারা যায়। আমি একজন মা। আমারও সন্তান আছে। আমি খালেদা জিয়াকে সহানুভূতি দেখাতে গিয়েছিলাম। আমি যখন সেই বাসার সামনে যাই, বাসার গেট তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। কত বড় অপমান, চিন্তা করে দেখেন। খালেদা জিয়া ভুলে গেছেন, স্বাধীনতার পর কতবার ওই ৩২ নম্বরে গেছে। আমার বাবা আর মা যদি সহযোগিতা না করতো তাহলে নিজেকে বেগম জিয়া বলে পরিচয় দিতে পারতো না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বোন আমার কাছে এসে কান্নাকাটি করলো। আমি সাজা স্থগিত করলাম। এখন নাকি তারা খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনশন করছে। অনশনের আগে কি দিয়ে নাস্তা করে এসেছে? শেষে কি দিয়ে ভাত খাবে? নাটকের একটা সীমা থাকে। কয় ঘণ্টার অনশন?
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি করেছে। খালেদা জিয়া বলেছিলো, গোপালগঞ্জের নাম মুছে ফেলবে। জয় বাংলা স্লোগান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইতিহাস মুছতে চাইলেই মুছে ফেলা যায় না।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীগের সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাহজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির সঞ্চালনায় সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাআলো/এসএ