আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ কার্যক্রম অন্যদের মতপ্রকাশে বাধা নয়

আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা মুক্তমতের মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে না বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সোমবার রাত সোয়া ১২টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ১২ মে জারি করা প্রজ্ঞাপনটি সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর অধীনে জারি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, প্রচার, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য বলে স্পষ্ট করা হয়েছে।
সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল, সংগঠন বা মতপ্রকাশকারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য প্রযোজ্য নয়। কেউ চাইলে সরকারের এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা, আইনি ভিত্তি কিংবা রাজনৈতিক বিশ্লেষণ প্রকাশ করতে পারে—তাতে কোনো বাধা নেই।
বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকার উল্লেখ করেছে, গত প্রায় ১৫ বছর ধরে এবং বিশেষ করে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে হামলা, গুম, খুন, অমানবিক নির্যাতন, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় দায়ের হওয়া অসংখ্য মামলা বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
সরকার দাবি করেছে, অভিযুক্ত সংগঠনগুলো সম্প্রতি মামলার বাদী ও সাক্ষীদের হুমকি প্রদান, বিচার ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি এবং জননিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটানোর মত সন্ত্রাসী তৎপরতায় লিপ্ত ছিল। এসব কারণেই দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।