ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার পর হোয়াইট হাউস থেকে মাত্র তিন মিনিটের এক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই হামলা ছিল “অত্যন্ত সফল এক সামরিক অভিযান” এবং ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো “সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে”।
ট্রাম্প বলেন, “ইরানকে এখন শান্তি করতে হবে। যদি তারা তা না করে, ভবিষ্যতের হামলা হবে আরও ভয়াবহ এবং তা করা হবে অনেক সহজে।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক লক্ষ্য এখনও বাকি আছে। আজকের লক্ষ্যটি ছিল সবচেয়ে কঠিন এবং সম্ভবত সবচেয়ে বৈধ। যদি দ্রুত শান্তি না আসে, আমরা সেসব বাকি লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁততা, গতিশীলতা এবং দক্ষতার সঙ্গে হামলা চালাব।”
ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এভাবে চলতে পারে না। হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য এমন বিপর্যয় নেমে আসবে, যা গত আট দিনে আমরা যা দেখেছি তার চেয়েও ভয়াবহ হবে।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
“যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল একসঙ্গে কাজ করেছে। আমরা ইসরায়েলের জন্য এই ভয়াবহ হুমকি অনেকাংশে দূর করেছি,” বলেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, এই হামলা তার প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার মতোই যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নীতির ধারাবাহিকতা।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধান জেনারেল ড্যান কেইন রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় (১২ জিএমটি) এক সংবাদ সম্মেলন করবেন। সেখানে সামরিক অভিযান এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের সমাপ্তি নয়, বরং ইরানকে আরও চাপে ফেলতে প্রস্তুত। মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে অশান্তি আর উত্তেজনা বেড়েই চলেছে, এবং এই হুঁশিয়ারির পর ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।