ঈদের সকালে পাটগ্রামে স্ত্রীকে গলা কেটে করে হত্যা

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ঈদের সকালে স্ত্রীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে করে হত্যা করে পলাতক রয়েছেন হাফেজ হাসিবুল ইসলাম (২৪) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক। শনিবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের মেম্বারপাড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত নারী এমি আক্তার (২০) একই গ্রামের একরামুল হকের মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী হাসিবুল ইসলাম মোজাফফর হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সামাজিকভাবে তিন বছর আগে এমি আক্তার ও হাসিবুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ ও স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ ছিল স্বামীর বিরুদ্ধে। ছয় মাস আগে নির্যাতনের কারণে এমি বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন।
ঈদের সকালে স্ত্রীকে দেখতে এসে ঘরের ভেতরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাসিবুল ধারালো ছুরি দিয়ে এমির পিঠে কোপ দেন এবং পরে গলায় ছুরি চালিয়ে তার গলা কাটেন। এরপর দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান।
নিহতের বাবা একরামুল হক বলেন, “ঈদের নামাজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় হাসিবুলকে দৌঁড়ে বাড়ি ছাড়তে দেখি। ঘরে ঢুকে দেখি মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায়। দীর্ঘদিন ধরে সে আমার মেয়েকে সন্দেহ করে নির্যাতন করত। শেষ পর্যন্ত তাকে মেরে ফেলল।”
ঘটনার পর উত্তেজিত এলাকাবাসী অভিযুক্তের বাবা মোজাফফর হোসেন ও ভাইকে আটক করে মারধর শুরু করলে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনও হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতের পরিবার মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অভিযুক্তের বাবা ও ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রাখা হয়েছে।”
এদিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।