এপ্রিলে ভোটে রাজি এনসিপি, তবে শর্ত তিনটি

তিনটি শর্ত পূরণ হলে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি আছে। শুক্রবার (৬ জুন) প্রধান উপদেষ্টার দেয়া বক্তব্যের পর একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও যুগ্ম-আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার এই অবস্থান স্পষ্ট করেন।
এনসিপির তিনটি প্রধান শর্ত হলো: জুলাই সনদ ঘোষণা ও বাস্তবায়ন, বিচার সম্পন্নকরণ ও দায় নিরূপণ এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি—বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব। আজ প্রধান উপদেষ্টা শুধু নির্বাচনের রোডম্যাপ নয়, বরং এই তিনটি বিষয়েই কথা বলেছেন। এটি একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। তবে বৃহত্তর জনগণের আস্থা ফেরাতে অবশ্যই জুলাই সনদ ঘোষণা দ্রুত দিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হতে পারে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা পুনঃস্থাপন করতে হলে এটি পুনর্গঠন করতেই হবে। আর বিচার ছাড়া গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্ত হবে না।”
এনসিপির যুগ্ম-আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টার রোডম্যাপ ঘোষণাকে ইতিবাচকভাবে দেখছি। তবে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা চাই নির্বাচন হবে যুগপৎভাবে গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচন। তাতে করেই রাজনৈতিক সংস্কার ও সরকার গঠন একসাথে বাস্তবায়িত হতে পারে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। তাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ মোতাবেক নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন অপরিহার্য।”
এনসিপি বলেছে, এই তিন শর্ত পূরণ হলেই এপ্রিলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে তারা গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণযোগ্য বলে মেনে নিতে প্রস্তুত থাকবে।