গাজায় রাতভর ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১০৩

গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৩ জনে পৌঁছেছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন বহু মানুষ, ধ্বংস হয়েছে ঘরবাড়ি, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উপাসনালয়।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি আজ বৃহস্পতিবার জানায়, গতকাল রাতভর একের পর এক ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় ১০৩ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে ১৩ জন ছিলেন জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা। সেখানে একটি প্রার্থনা কক্ষ ও একটি দাতব্য হাসপাতাল সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, হামলার সময় শিশুরাও আশ্রয় কেন্দ্রের ভেতরে ছিল। মুহূর্তেই চারপাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
হামলায় দাতব্য হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অনেক হাসপাতাল ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ ও ওষুধ সংকটে ভুগছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলার নিন্দা জানিয়ে এগুলোকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া এখনো তুলনামূলকভাবে সীমিত থাকায় মানবাধিকারকর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন সংস্থা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বললেও, এখন পর্যন্ত বড় কোনো হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি।
গত কয়েক মাস ধরে গাজা ও ইসরায়েল সীমান্তে উত্তেজনা চরমে। ইসরায়েল দাবি করছে, হামাস তাদের সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে, তবে বাস্তবতা হলো — এর প্রভাব সাধারণ মানুষের জীবন, বাসস্থান এবং মৌলিক অধিকারকে ভয়াবহভাবে বিপন্ন করে তুলছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গাজার জনগণের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষত, আহতদের চিকিৎসা, খাদ্য, পানি ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে জরুরি।