সম্পাদকীয়: নদীর চরে রয়েছে একটি ইটভাটা। সেই ভাটা না সরিয়ে নদী খননের কাজ শেষ করা হয়েছে। এতে সাতক্ষীরার মরিচ্চাপ নদী খননে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাড়ে সাত কোটি টাকার প্রকল্প ভেস্তে যাবে।
কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় একটি নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা যায় কিনা? ইটভাটা অক্ষুণ্ণ রাখায় কার লাভ হয়েছে আর কার ক্ষতি হয়েছে সেটা জানতে হবে। যেভাবে নদী খনন করা হয়েছে তাতে হয়তো ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থ রক্ষা হয়েছে। কিন্তু এর কুফল ভোগ করতে হবে এলাকার হাজারো মানুষকে।
নদীর বুকে ইটভাটা চালু থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পরিবেশ-প্রকৃতি। নদীর দখল, অবকাঠামো নির্মাণ, মৎস্য চাষ, নদীর স্বাভাবিক প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে এ কথা আইনে বলা হয়েছে। কিন্তু সাতক্ষীরার ওই ভাটাটি রক্ষা করে নদী খনন করা হলো। এ ধরনের খননে কি কোনো টেকসই সুফল মিলবে? নাকি আবারো নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে? নদী এমনভাবে খনন করতে হবে যাতে করে এর স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরে আসে। নদী খননে সবার আগে পরিবেশ-প্রকৃতি এবং স্থানীয় জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। কোনো ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থে নদী খনন করা কাম্য নয়।
সাতক্ষীরায় ইটভাটা রক্ষা করার জন্য নদীর গতিপথ পরিবর্তন করার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে হবে। এ ক্ষেত্রে যদি অনিয়ম-দুর্নীতি ঘটে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে। ইটভাটা উচ্ছেদ করে নদী খনন করতে হবে। যাতে এর পূর্ণাঙ্গ সুফল সাধারণ মানুষ পায়, পরিবেশ-প্রকৃতিও রক্ষা পায়। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
স্বাআলো/এস