সম্পাদকীয়: যশোরের চৌগাছায় ২১ জুন পটল বিক্রি হয়েছে পাঁচ টাকা কেজিতে। এর আগে গত ৩১ মে চৌগাছা বড় কাঁচাবাজারে পটল চার টাকা কেজি দরে পটল বিক্রি হয়েছিলো।
২১ জুন চৌগাছা সরকারি শাহাদৎ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের বড় কাঁচাবাজার এবং চৌগাছা খুচরা কাঁচাবাজারে গেলে এই দামে পটল বিক্রি হতে দেখা যায়। এদিন চৌগাছা বড় কাঁচা বাজারে প্রায় ১০০ ট্রাক পটল পাইকারি বিক্রি হয়েছে। যার এক ট্রাকে প্রায় ৩৫০ মণ পটল লোড হয়।
যশোরে উৎপাদিত সবজি প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে নষ্ট হয়ে যায়। উঠতি মৌসুমে দাম কিছুটা চড়া থাকলেও মৌসুমের মাঝামাঝি সময় থেকে শেষ পর্যন্ত এই সবজি গোখাদ্যে পরিণত হয়। পটলের অবস্থা তাই হয়েছে। এভাবে প্রতি বছর প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বিভিন্ন সবজি নষ্ট হয়ে যায়। কৃষকদের এ দৃশ্য নিরবে দেখা ও সহ্য করা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।
দেশের মোট চাহিদার ৬৫ ভাগ সবজি উৎপাদন হয় যশোরে। সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু বাজারজাতকরণের অভাবে অনেক সময় ক্ষেতেই নষ্ট হয় ফসল।
বর্তমান সময়ে শুধু সবজি নয় প্রতিটি ফসল উৎপাদন অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। সেই সাথে শ্রমসাধ্যও বটে। এ অবস্থায় যদি প্রতিবারই সবজি গোখাদ্যে পরিণত হয় তাহলে কৃষকরা নিরুৎসাহিত হয়ে সবজি চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। এতে উৎপাদন ঘাটতি সৃষ্টি হয়ে খাদ্যের প্রয়োজনে এই সবজিও আমদানি করা ছাড়া বিকল্প থাকবে না।
স্বল্পমাত্রায় হলেও রফতানির যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তা যেন বন্ধ হয়ে যাবার কারণ না ঘটে। রফতানি যাতে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে এবং রফতানির ক্ষেত্রে নতুন নতুন দেশ খুঁজে বের করা সে দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে হবে। বাংলাদেশ যে অপার সম্ভাবনার দেশ তাতে কারোরই দ্বিমত নেই। এই সম্ভাবনাকে সামনে করে জাতির যে যেখানে আছে সেখান থেকে সাধ্যানুসারে চেষ্টা করে তাহলে সব ক্ষেত্রে দেশটা দ্রুত অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাবে। আমদের মত পথ ভিন্ন হতে পারে; কিন্তু দেশটা তো সবার।
স্বাআলো/এস/বি