তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি—এই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে দ্বিতীয় দিনের মতো চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন।
তিনি বলেন, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। আমাদেরকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ ডাকেনি। এই পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসের কোনো কার্যক্রম চলতে পারে না। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এর ঘোষণা দিয়েছি।”
তিন দফা দাবি কী কী?
১. আবাসন সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া ও সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করা
২. শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির নিশ্চয়তা
৩. অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ শুরু এবং তা পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত এই দাবিগুলো বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি নেই। বরং প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
গতকাল বুধবারের মতো আজও শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এতে করে কাকরাইল থেকে যমুনা ফিউচার পার্ক অভিমুখী প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় পর্যন্ত উভয় দিকের সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
রমনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম ফারুক বিবিসি বাংলাকে বলেন, “শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মোড়ে এখনো অবস্থান করছে। আমরা যমুনার দিকে যাওয়ার দুই পাশের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি।”
এর ফলে আশপাশের রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে, যা অফিসযাত্রী ও পথচারীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পুলিশি হামলার অভিযোগ
গতকাল বুধবার (১৪ মে) তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা যমুনা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সেখানে টিয়ার শেল ও লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে, যাতে একাধিক শিক্ষার্থী আহত হন বলে জানা গেছে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, এখন শুধু তিন দফা দাবি নয়—পুলিশি হামলার বিচার-ও তাদের আন্দোলনের নতুন দাবি হিসেবে যুক্ত হয়েছে।