দেশে প্রথমবারের মতো একযোগে বিস্তৃত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ শুরু হয়েছে। দেশের ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে।
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘টাইফয়েড টিকাদান বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাদান কর্মসূচিগুলোর একটি। বাংলাদেশ এই সাফল্যের অংশ হতে পেরেছে, যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আপনারা শুধু নিজেই টিকা গ্রহণ করবেন না, অন্যদেরও উৎসাহিত করবেন। আগামী বছর থেকে এই টিকাটি সরকারিভাবে বিনামূল্যে দেওয়া নাও হতে পারে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, টিকাটি পাওয়া যাবে না—সেটা ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাইফয়েডের এই ভ্যাকসিনটি প্রায় ১০০ বছরের গবেষণার ফল। এত দীর্ঘ সময়ের পর আজ আমরা কার্যকর ভ্যাকসিন পেয়েছি, যা মানবতার জন্য এক বিশাল অর্জন। আশা করি সবাই দায়িত্বশীলভাবে টিকা গ্রহণ করবেন এবং অন্যদের সচেতন করবেন।’
ডা. সায়েদুর রহমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা অনেকেই ভবিষ্যতে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী বা প্রশাসক হবেন। কিন্তু এর বাইরে দরকার চিন্তাশীল মানুষ, গবেষক। আগামী পৃথিবী হবে প্রযুক্তিনির্ভর। আজ থেকেই নিজেদের প্রস্তুত করুন জ্ঞান, গবেষণা ও মানবিক দায়িত্ববোধ নিয়ে।’
এই প্রথমবারের মতো একযোগে বড় পরিসরে টাইফয়েড টিকাদান শুরু হওয়ায় দেশের স্বাস্থ্য খাতে এটি একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় আশা করছে, এই কর্মসূচির মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে টাইফয়েডের ঝুঁকি ব্যাপকভাবে কমানো যাবে এবং দীর্ঘমেয়াদে এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।