ঢাকা অফিস: ১৯৭৫ সালের পর এ বছর সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নানা ধরনের অপকর্ম করে তারা (বিএনপি-জামায়াত) এবারের নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিলো। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় কথা হলো জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে গেছে এবং ভোট দিয়েছে।
টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে ৭৫ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সবচেয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, এবারের নির্বাচন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সামনের যাত্রাপথ এতো সহজ না। অনেক বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করতে হয়। অনেক চক্রান্ত এ বাংলাদেশকে ঘিরে আছে। বাংলাদেশের মানুষ আজকে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা পেয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের পেটে আজ ভাত আছে। তারা চিকিৎসা পাচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছি। আজ বিদেশ থেকে পুরোনো কাপড় এনে পরতে হয় না।
দেশীয় খেলাগুলো যেনো হারিয়ে না যায়, সেই উদ্যোগ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা যেমন করা হয়েছে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি, শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এভাবে মানুষের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, অনেক টাকা দিয়ে আমাদের কিনে আনতে হয় সার, বীজ, গম, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, গ্যাস; অনেক কিছুই আমাদের বিদেশ থেকে কিনতে হয়। প্রতিটি জিনিসের দাম যেমন বেড়ে গেছে, সেই সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে।
সরকার প্রধান বলেন, যারা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ তাদের একটু কষ্ট হচ্ছে। সবাই যদি আমরা অনাবাদি জমিগুলো চাষ করে ফেলি, তাহলে আর এই খাদ্যের অভাব থাকবে না। বরং আমরা আরও উদ্বৃত্ত করতে পারব, মানুষকে দিতেও পারব।
প্রত্যেক বিভাগে বিকেএসপি করার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, যেখানে যত পতিত জমি আছে, সব আমাদের চাষের আওতায় আনতে হবে। তার জন্য যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার, আমরা করবো। সেই সঙ্গে সঙ্গে সমবায় করে, সমবায়ের মাধ্যমে বাজারজাতের ব্যবস্থা করতে হবে।
খাদ্যশস্য সংরক্ষণে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যশস্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আমাদের আছে। প্রত্যেক জেলায় যাতে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা যায়, যখন উদ্বৃত্ত হবে, তখন সংরক্ষণ করা, প্রক্রিয়াজাত করা সেভাবে আমরা কাজ করার ব্যবস্থা নিয়েছি ইতোমধ্যে।
বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহবান জানান তিনি।
চেয়ারম্যান-মেম্বারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক প্রকল্প দিই, কাজ করি। সেই কাজগুলো যাতে যথাযথভাবে হয়। মানুষ যেনো গালি না দেয়। কাজ দেখে যেনো মানুষ আস্থা-বিশ্বাস আনতে পারে। এ আস্থা-বিশ্বাস সবচেয়ে বেশি দরকার।
স্বাআলো/এস