জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী: জেলার অন্যতম হোমিওপ্যাথিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পটুয়াখালী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অযোগ্য, অদক্ষ শারীরিকভাবে দৃষ্টিহীন সক্ষমতাহীন অধ্যক্ষের অনিয়মের কারনে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ও একাডেমিকসহ পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রমে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদেরসহ অভিভাবক মহলে দারুনভাবে হতাশা বিরাজ করছে।
এ অবস্থায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নিয়মিত তিনজন শিক্ষকদের মধ্য থেকে দায়িত্ববান ও কর্মঠ একজন শিক্ষককে উপাধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করার জন্য বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদের সদস্য ডাঃ শেখ ইফতেখার উদ্দিন ও রেজিস্ট্রার- কাম-সেক্রেটারী ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমদ্বয় পটুয়াখালী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে পত্র প্রেরণ করেন।
বাংলাদেশ হোমিও প্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম কর্তৃক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিস্ট বিভিন্ন দফতরে প্রেরিত পত্র সূত্রে জানা গেছে, সরকার কর্তৃক স্বীকৃতপ্রাপ্ত পটুয়াখালী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অনুষ্ঠিত ডিএইচএমএস পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনকালিন সময় কেন্দ্র পরিদর্শক ডাঃ শেখ ইফতেখার উদ্দিন লক্ষ্য করেছেন যে, অত্র কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব ডাঃ বজলুর রহমান দৃষ্টিজনিত সমস্যার কারনে কলেজের একজন খন্ডকালীন মেডিকেল অফিসারের মাধ্যমে অফিসের দায়িত্ব ও গোপনীয় কাজ সম্পন্ন করে থাকেন।
ডাঃ শেখ ইফতেখার উদ্দিন একটি স্ব-ব্যাখ্যায়িত লিখিত প্রতিবেদন অত্র কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যানের বরাবরে দাখিল করেছেন। তিনি প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা ও যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে প্রচলিত বিধি- বিধান মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য অত্র কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসককে নির্দেশক্রমে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন।
এছাড়াও দৃষ্টিশক্তির সমস্যাজনিত শারীরিক সক্ষমতাহীন অধ্যক্ষ ডাঃ বজলুর রহমান, ২০১২ সালে যোগদান করার কিছুদিন পর হতে প্রায় ১২ বছর ছুটিবিহীন অনুপস্থিত কলেজের প্রভাষক ডাঃ কবির উদ্দিনের বিষয়টি অদ্যবধি আমলে না নিয়ে তার স্বার্থ হাসিলের অসৎ উদ্দেশ্যে বাৎসরিক ফাইনাল পরীক্ষার সময় ডাঃ কবির উদ্দিনকে দিয়ে কলেজ সংক্রান্ত অফিসিয়াল কাজকর্ম ব্যক্তিগতভাবে অনুমতি দেন এবং ম্যানুয়াল হাজিরা খাতায় দুই- এক মাসের উপস্থিতি দেখালেও ফিংগার প্রিন্টে তা সম্ভব হয়নি। অধ্যক্ষের অনৈতিক বিষয়টি কলেজের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফাতেমা আক্তার রুমা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।
দৃষ্টিশক্তির সমস্যাজনিত শারীরিক সক্ষমতাহীন অযোগ্য অধ্যক্ষ ডাঃ বজলুর রহমানের স্বেচ্ছাচারিতার কারনে পটুয়াখালী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রায় ভঙ্গর হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ডাঃ দিলিপ কুমার রায় জানান, বিষয়টি অবগত হয়ে ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসকে স্থানীয়ভাবে যাচাই- বাছাইপূর্বক প্রচলিত বিধি- বিধান মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করার নির্দেশক্রমে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম জানান, আমি বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে বিষয়টি দেখবো।
স্বাআলো/এস