সম্পাদকীয়: খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় রাড়লী গ্রামের এক বাড়িতে চুরি করতে এসে চোখ-মুখে সুপারগ্লু দিয়ে এক গৃহবধূকে (৪৫) ধর্ষণ করেছে চোর। ১২ ফেব্রুয়ারি আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষণের এ পৈশাচিক ঘটনায় এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সবার মুখে এক কথা এসব ঘটনা রুখবে কে?
সরকার ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন পাস করে প্রশংসিত হয়েছে। এমন একটি কঠোর আইন দেশে জরুরি ছিলো। কারণ আমরা যেনো আদিম যুগে ফিরে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক।
গৃহবধূ থেকে স্কুলের ছাত্রী ও শিশুরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ধর্ষণের হররোজের যে চিত্র তা তুলে ধরা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ কি। এসব ঘটনায় প্রমাণ হয় আমাদের সমাজ অসুস্থ হয়ে গেছে। এটা সভ্য সমাজের লক্ষণ নয়।
খুলনায় চোখে-মুখে সুপারগ্লু দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ
আমাদের সমাজের কোনো একটা জায়গায় রোগ হয়ে গেছে। অসুস্থ হয়ে গেছি আমরা সবাই। ভুক্তভোগীদের মর্মযাতনা উপলব্ধি করে এর বিরুদ্ধে আরো কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে চিন্তা সমাজবিজ্ঞানী, সরকার, রাজনীতিক সমাজসেবী সবাইকে ভাবতে হবে। এভাবে কোনো সভ্য সমাজ চলতে পারে না। অব্যাহত এ অপরাধের কারণে একদিন দেখা যাবে এ জাতি অসভ্য জাতির কলঙ্ক তিলক ললাটে উঠেছে।
এক একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে আর বিভিন্ন জনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে পত্র-পত্রিকায়। আর এ সব দেখে ধর্ষিতা এবং ধর্ষিতাদের স্বজনদের হা-হুতাশ করা ছাড়া কিছুই থাকছে না। সামাজিক ব্যবস্থার কারণে তাদেরকে সারা জীবন কলঙ্কের ডালি বয়ে নিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
বিভিন্ন সময় ধর্ষণ-হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলন কম হয়নি। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন পাস হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই থামছে না এ অপরাধ। ধর্ষকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কেনো এমনটি হচ্ছে তা সমাজবিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু এখনো ধর্ষকরা নির্ভয়ে এই জঘন্য অপরাধটি একের পর এক করেই যাচ্ছে। অপরাধীরা যেনো আষ্কারা পাচ্ছে। অপরাধ ঘটাতে দুর্বৃত্তরা সাহস পাচ্ছে। ভুক্তভোগীদের মর্মযাতনা উপলব্ধি করে এই পাইকারী ধর্ষণের বিরুদ্ধে আরো কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে চিন্তা সমাজ বিজ্ঞানী, সরকার, রাজনীতিক সমাজসেবী সবাইকে ভাবতে হবে। এভাবে
কোনো সভ্য সমাজ চলতে পারে না।
স্বাআলো/এস