আজাদুল হক, বাগেরহাট: স্বামী জাপান প্রবাসী হওয়ায় এক নারীকে ফাঁদে ফেলে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়া ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলায় আব্দুল্লাহ আল ইমরান (৩৩) নামের একজন সংবাদ কর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। চার্জশীটভুক্ত আসামি আব্দুল্লাহ আল ইমরান বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মঘিয়া গ্রামের এবং একটি জাতীয় দৈনিকের বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা। জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বিষখালী গ্রামের গৃহবধু ভিকটিম আব্দুল্লাহ আল ইমরান কে আসামি করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
থানা পুলিশ গত ৪ ডিসেম্বর-২০২৩ শহরের মিঠাপুকুর পাড় এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ আল ইমরান কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করে এবং সে জেলা কারাগারে বন্দি ছিলো। সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য জামিনে মুক্তি পায়। এরই মধ্যে গত ৩১ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই গৌতম কুমার মন্ডল তদন্তশেষে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটিতে আব্দুল্লাহ আল ইমরান কে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই গৌতম কুমার মন্ডল এজাহারের অভিযোগ ও চার্জশীটের বরাত দিয়ে বলেন, আসামি একজন গনমাধ্যম কর্মী। মামলার বাদীর বাড়ীর রাস্তার জায়গা নিয়ে প্রতিবেশীর সাথে বিরোধ বিষয়ে পত্রিকায় খবর করে দেয়ার অজুহাতে আব্দুল্লাহ আল ইমরানসহ তার সহযোগি তিন/চার জন সংবাদ কর্মী ওই বাড়ীতে যায়।
এক পর্যায়ে আসামি আব্দুল্লাহ আল ইমরানের সাথে বাদীর সু-সম্পর্ক হয়।
আর এই সম্পর্ক ধরে আসামি আব্দুল্লাহ আল ইমরান অসৎ উদ্দেশ্যে বাদী হিন্দু হওয়া স্বত্তেও কৌশলে বোরখা পরিয়ে মোবাইলে ছবি তুলে ব্লাকমেইল শুরু করে। দীর্ঘদিন ধরে ব্লাকমেইল করে নগদ অর্থ নেয়ার পাশাপাশি বাদীকে ভয়ভীতি দিয়ে শিশু সন্তানের সামনে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ আল ইমরানের বিচার দাবী করে ভিকটিম নারী বাগেরহাট সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ আব্দুল্লাহ আল ইমরান কে বাগেরহাট জেলা শহরের মিঠাপুকুর পাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করে।
মামলার বাদী ভিকটিম ওই নারী মামলায় চার্জশীট হওয়ায় খুশি হলেও জীবনের নিরাপত্তায় ভুগছেন জানিয়ে এ প্রতিবেদক কে বলেন , ইমরান আমার সাথে লম্পট্য করেছে। উচ্চআদালতের মাধ্যমে জামিনে বেরিয়ে আমাকে নানাভাবে হুমকী দিচ্ছে। এমন কি ইমরানের সহযোগি সাংবাদিকরাও নানাভাবে আমাকে হুমকী দিচ্ছে মামলা প্রত্যাহারের জন্য।
এখন মামলায় সঠিক বিচার হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ করছেন ভিকটিম ওই নারী।
স্বাআলো/এস