ঢাকা অফিস: ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে মাথায় রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ভূমিকা পালন করছে।
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের সামনের দেয়ালে ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখা গান, কবিতা ও স্লোগান শোভা পেলেও অন্যান্য বারের মতো পার্শ্ব বা সামনের রাস্তাগুলোতে করা হয়নি আলপনা।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে আলপনা আঁকার কাজ শুরু হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে দিবসটিকে ঘিরে শহীদ মিনারে থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা। সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে নিয়মকানুন মেনে যথাযথভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের আহবান জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
২১ আমাদের শিখিয়েছে মাথানত না করা: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে এ দিবস উদযাপনের ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
শহীদ মিনারের চারপাশে ব্যারিকেড দেয়ার কাজ শেষ। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। চারদিকে শতাধিক পুলিশ, র্যাব, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা পাহারা দিচ্ছেন। শুধু নিরাপত্তা পাস থাকলেই কেবল ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন। তাছাড়া শহীদ মিনার এলাকার চারপাশে ৩৬০ ডিগ্রি কোণে সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানোর কাজও শেষ হয়েছে। শহীদ মিনার, দেয়াল ও মেঝেতে রং করাও শেষ। দেয়াল লিখনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে শহীদ মিনারের উত্তর দিকের দেওয়াল। চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যেই শেষ করেছেন দেয়াল লিখন।
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে হবে
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, আমরা প্রতি বছরের মতো এবারো শহীদ মিনারে আলপনার কাজ করছি। মিনারের সামনের রাস্তায় আলপনা আঁকার মাধ্যমে কাজ শেষ করবো। আর এতে আমাদের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।
এদিকে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বুধবার দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেন উপাচার্য মাকসুদ কামাল।
সেখানে তিনি বলেন, রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রীবর্গ, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধীদলীয় নেতা। এর পর পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন তিন বাহিনীর প্রধানরা, ভাষাসৈনিকরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অনুষদের ডিনবৃন্দ ও হলের প্রাধ্যক্ষবৃন্দ। এর পর সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের জন্য শহিদ মিনার উন্মুক্ত থাকবে।
স্বাআলো/এস