জেলা প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ: জেলায় থাই গেম ও ভিসা চক্রের সদস্যরা প্রবাসীদের টাকায় ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। ফেসবুকে ভিডিও বুস্ট করে ইমো নম্বর দিয়ে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। তাদের গাড়ি-বাড়ি ও চলন-বলনে স্থানীয়দের চোখ কপালে উঠেছে। প্রশাসনের নজর পড়ায় অনেকে গা ঢাকা দিয়েছে।
জানা য়ায়, প্রতারক চক্র ডলার দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ইমো নম্বর কিনে মোবাইলে সেটআপ দেয়। ফেসবুক ভিডিওতে কোটি টাকার থাই গেমের উইন নম্বর ও ইউরোপের ভিসা দেয়ার প্রলোভন দেখায়। প্রবাসীরা সেই ইমোতে যুক্ত হলে প্রতারকরা কৌশলে তাদের টাকা হাতিয়ে নেয়।
জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় ২২ হাজার ১১০ কোটি টাকা
প্রথমে উপজেলার নিতাই ইউনিয়নে এ প্রতারক চক্র গড়ে উঠে। স্বল্প শিক্ষিত ও নিম্ন আয়ের যুবকেরা এ চক্রের সদস্য। তাদের রয়েছে দামি মোটরবাইক ও নির্মাণ করেছে বহুতল বাড়ি। দুই বছরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এরা ডানা মেলেছে। মদদদাতা থাকায় তাদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতারক চক্রের সদস্যরা বলেন, প্রবাসীরা ভিডিও দেখে থাই গেমের গোপন নম্বর ও আকামার জন্য ইমোতে যুক্ত হয়। থাই সরকারের লটারি কার্যালয়ে ও ভিসার ক্ষেত্রে ইউরোপে চাকরি করার কথা জানাই। টাকার বিনিময়ে থাই গেমের রেম্বল, ডাউন নম্বর অথবা ভিসার ক্ষেত্রে আবেদন ফরম নেয়।
পরে তাদের ছবি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও কাগজপত্র নিয়ে গেম উইন অথবা ভিসা পাওয়ার কথা জানাই। বড় স্যার ও ভ্যাটের খরচ, ডলারে কনভার্ট, ভিসার ক্ষেত্রে বিমান ভাড়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে একাধিকবার টাকা নেয়া হয়। গেম ড্র হয়া ও ভিসার তারিখের আগে তাদের ইমোতে ব্লক করে দিই।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম শরীফ জানান, থাই গেম ও ভিসা প্রতারণার ঘটনায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে সাতজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ চক্রের সদস্যরা অনেকে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্বাআলো/এসআর/এস