প্রবাস ডেস্ক: মালয়েশিয়ায় গিয়ে প্রতারণার শিকার ১০৪ বাংলাদেশি। চাকরি ছাড়াই রাজধানী শহরের চেরাসের একটি বাসায় তাদের আটকে রাখা হয়েছে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে কাজের ভিসায় আসার পর থেকে এসব বাংলাদেশি কর্মী চাকরিহীন রয়েছেন। সময় কাটছে তাদের দুর্বিষহ অবস্থায়।
বাংলাদেশি কর্মীদের অধিকার নিয়ে সেই দেশে কাজ করা ব্রিটিশ শ্রম অধিকার কর্মী এন্ডি হল বলেছেন, ১০৪ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ১৯ হাজার ৫০০ থেকে ২১ হাজার ৭০০ রিঙ্গিত নিয়োগ ফি প্রদান করেছে, যেখানে তাদের ভালো জীবনযাত্রার সুবিধা এবং উচ্চ বেতনের চাকরির প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো।
এন্ডি হল বলেন, চেরাসের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান তাদের নিয়োগ দিয়েছে।
তিনজন শ্রমিক বলেছেন, নিয়োগের ফি প্রদান করা তাদের ঋণের বন্ধনে ঠেলে দিয়েছে কারণ ফি সুরক্ষিত করার জন্য তাদের প্রচুর ধার নিতে হয়েছিলো।
প্রতারণার শিকার একজন কর্মী এন্ডি হলকে বলছেন, আমি একটি বিশাল ঋণের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি। আমি বিভিন্ন উৎস থেকে টাকা ধার করার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে বেতন পেয়ে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করবো। কিন্তু আমি পরিশোধ করতে অক্ষম। ঋণদাতারা আমার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে।
শ্রমিকরা জানান, আসার পর তাদের পাসপোর্ট কেড়ে নেয়া হয় এবং তারা শারীরিক ও মৌখিক নির্যাতনের শিকার হয়। এছাড়াও যে ব্যক্তি তাদের বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করে নিয়ে এসেছিলো, তার দ্বারা তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ফ্রি-মালয়েশিয়া টুডেতে এন্ডি হলের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়- ১০০ জনেরও বেশি শ্রমিকের জন্য একটি মাত্র টয়লেট এবং একটি রুমের মধ্যে গাদাগাদি করে তাদের থাকতে হচ্ছে। বেশিরভাগ চাল, মসুর এবং ম্যাশড আলুর অপর্যাপ্ত খাবার তাদের খাওয়ানো হচ্ছে।
হল বলছেন, প্রতিশ্রুত চাকরি পাওয়ার পরিবর্তে তাদের কোনো কাজ নেই এবং কোনো আয় নেই। এ পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে রয়েছেন ১০৪ জন বাংলাদেশি কর্মী।
স্বাআলো/এস