নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বিপুল পরিমান অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি বার্মিজ চাকু, চারটি গাছি দা, একটি চাপট, একটি রামদা, একটি শাবল ও একটি স্লাই রেঞ্জ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২ মার্চ) রাতে শহরের রায়পাড়া রেলস্টেশন পুকুরের দক্ষিণ পাশ থেকে তাদের আটক করা হয়।
এই ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় আটক ৯ জনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা করেছে।
আটককৃতরা হলো, শহরের বারান্দীনাপাড়ার কপিল চন্দ্র সাহা চয়ন (২৯), বেজপাড়া আনছার ক্যাম্প এলাকার ইমন মোল্লা (১৯), শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার অয়ন (১৯), বারান্দী কদমতলা এলাকার মুন্না ইসলাম সাগর (২১), বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার আমিন (৪৪), মুড়লী জোড়া মন্দির এলাকার হাসিবুর রহমান রাতুল (১৯), শহরের কাজীপাড়া গোলামপট্টির রাফিদুল ইসলাম রোহান (১৯), শার্শা উপজেলার সালতা-শিকারপুর এলাকার নয়ন শেখ (১৯) ও ঝিকরগাছার বাঁকড়া এলাকার রিফাতুল ইসলাম নিভা (১৯)।
এই মামলার পলাতক আসামিরা হলো, শহরের রেলগেট এলাকার ট্যাটু সুমন (২৫), বেজপাড়ার চোর আলামিন (২৪) ও বেজপাড়া আনসার
ক্যাম্প এলাকার মেহেদী হাসান মানিক (২৩)।
ডিবি পুলিশ যশোরের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুপন কুমার সরকারের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গ্রেফতারকৃত আসামিরা ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, মাদকসহ যশোর শহরে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। গোপন সংবাদের সূত্র ধরে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই নুর ইসলাম ও এসআই শামীম হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিম যশোর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের রায়পাড়া রেলস্টেশন পুকুরের দক্ষিণ পাশে সুমনের দোকানের পিছন থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বিপুল পরিমান অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করে। এ অভিযানে আরো অংশ নেন এসআই শফি আহমেদ রিয়েল, এসআই সাদ্দাম হোসেন, এএসআই সৈয়দ শাহিন ফরহাদ, এএসআই রঞ্জন কুমার বসু, ও আব্দুল বাতেন।
এই ঘটনায় এসআই নুর ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেছেন।
শনিবার বিকালে আটক আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাদ্দাম হোসেন।
স্বাআলো/এস