সম্পাদকীয়

যশোরে মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া

| February 5, 2024

সম্পাদকীয়: যশোরে মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আর তাই প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে মাদকের চালান। যশোরের উপশহরে একটি কুরিয়ার সার্ভিসে মাদক পরিবহনের সময় এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে চার হাজার ২১০ পিস ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-৬।

রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীর নাম ফরিদা খাতুন (২৮)। তিনি যশোর রেলগেটে এলাকার বসিন্দা।

যশোরে কুরিয়ারে সাবানের বক্সে ৪২১০ পিস ইয়াবা, নারী আটক

এ দিকে একই দিন যশোরে পৃথক অভিযানে ইয়াবা-ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ সাত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৫০ পিস ইয়াবা, ৩০ বোতল ফেনসিডিল ও এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।

সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থান গ্রহণ করলেও ফল কিন্তু সন্তোষজনক নয়। কোনো কিছুতেই মাদক ব্যবসা ও এর ব্যবহার বন্ধ হচ্ছে না। এ ব্যবসাকে ডেডস্টপ করতে হবে। এদের যদি দমন করা যেতো তা হলে এতোদূর এগোতে পারতো না। বিকশিত হবার আগেই হারিয়ে যায়, কতো উদীয়মান প্রতিভা। বিধবা হয় কতো নারী, কতো শিশু এতিম হয়। মাদকাসক্তরা পরিবার সমাজে অস্বাভাবিক জীবনযাপনের শিকার হয়।

যশোরে ইয়াবা-ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ ৭ মাদক ব্যবসায়ী আটক

মাদককে জাতীয় জীবনের অন্যতম সমস্যা। কিন্তু মাদক ব্যবসা থেমে নেই। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও পুলিশ বিভাগকে এর বিরুদ্ধে কঠোর ভূকিকা নিতেও দেখা যাচ্ছে, কিন্তু তারপরও কেনো এ অবস্থা তা ভাববার বিষয়।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাদক ধরছে, ধ্বংস করছে, বহনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবু এ মাদকটির স্রোত থামছে না।

দেশের প্রাণ শক্তি যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। মাদককে যেকোনো মুল্যে বন্ধ করতে হবে।

মাদক রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যারা মাদক ব্যবসা ছাড়বেন না তাদের ভয়াবহ বিপদে পড়তে হবে। আর মাদক ব্যবসা ছাড়লে সরকার সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশকে উন্নত ও উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত করার চেষ্টা চলছে। তাই কর্মক্ষম যুবশক্তিকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে হবে।

স্বাআলো/এস

Shadhin Alo