নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে অন্তঃসত্বা গৃহবধূকে মারধরের পর বাবার বাড়ি তাড়িয়ে দিয়েছে তার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি।
বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী গৃহবধূ যশোর শহরের সিটি কলেজপাড়া ব্যাটারি পট্টির লিটন মিয়ার মেয়ে প্রেমা আক্তার রিনি এই মামলাটি করেছেন।
বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ আসামিদের বিরুদ্ধে সমনজারীর আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পুরাতন বাধচর থানাপাড়ার সাহাবুল মালিথা, তার স্ত্রী নাছিমা খাতুন ও ছেলে রাসেল মালিথা।
বাদী মামলায় বলেছেন, ২০১৯ সালের ১১ মে আসামি রাসেলের সাথে বাদীর ৮০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্যে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক রিনির বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বর্ণালংকারসহ যাবতীয় সাংসারিক মালামাল দেয় বাদীর পিতা। এরই মধ্যে দাম্পত্য জীবনে তাদের রাফিয়া ক্তার রুহি নামে একটি মেয়ের জন্ম হয়। কিন্তু থেমে নেই তার স্বামী রাসেলের দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে নির্যাতন।
এরই মধ্যে রিনি আবার সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর দুই লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে অন্তঃসত্বা রিনিকে মারপিট করে একবস্ত্রে পিতার বাড়ি তাড়িয়ে দেয় রাসেল। এতোদিন তিনি পিতার বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে তার পিতার বাড়িতে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে ডেকে নেয়া হয়। এসময় উপস্থিত লোকজনের সামনে যৌতুক ছাড়া রিনিকে নিয়ে সংসার করার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু যৌতুক ছাড়া তাকে নিয়ে আর সংসার করবেনা এবং পূনরায় দ্বিতীয় বিয়ে করে যৌতুকের চাহিদা পূরণ করা হবে বলে চলে যায়।
স্বাআলো/এসআর