যশোরে ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাই

যশোর-মনিরামপুর সড়কের কুয়াদা জামতলা মোড়ে ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর এক কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ৯টার দিকে প্রাইভেটকার থামিয়ে এ ঘটনা ঘটায় মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা।
নগদ যশোর শাখার ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম জানান, শাখার হিসাবরক্ষক কাজী মোমিনুর ইসলামের কাছ থেকে ৫৫ লাখ টাকা বুঝে নিয়ে তিনি মনিরামপুর শাখায় যাচ্ছিলেন। কুয়াদা জামতলা মোড়ে পৌঁছালে তিন-চারজন দুর্বৃত্ত তার গাড়ির গতিরোধ করে, কাচ ভেঙে তাকে গাড়ি থেকে নামায় ও মারধর করে টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়।
রবিউল ইসলামের সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন চালক মোহাম্মদ সাজু, যিনি যশোর পোস্ট অফিসপাড়ার বাসিন্দা। গাড়ির নম্বর ছিল ঢাকা মেট্রো-গ ১৫৫৯২৩।
রবিউল ইসলাম জানান, ঘটনার পর তিনি আহত অবস্থায় ফিরে আসেন এবং আইনি পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
তবে ঘটনার পর স্থানীয় কিছু সূত্র জানায়, রবিউল ও চালক সাজুর বক্তব্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে। তারা ছিনতাইয়ের পর তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ বা স্থানীয়দের সহায়তা চেয়েছেন—এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। ফলে অনেকেই ঘটনাটিকে ‘সন্দেহজনক’ বলছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা ও ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এত বড় অঙ্কের অর্থ কোনো প্রকার নিরাপত্তা ছাড়াই বহন করা হয়েছিল—এটি আত্মসতর্কতার ঘাটতি নয়, বরং এর পেছনে ‘অভ্যন্তরীণ যোগসাজশ’ থাকতে পারে। এজন্য দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে।
নগদের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠান কীভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিরাপত্তাহীনভাবে বহন করে, এবং তাতে দুর্বৃত্তরা এত সহজে হামলা করে পার পেয়ে যায়—তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা না বের হলে এ ধরনের ঘটনা বাড়তেই পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।