নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেলার বর্তমান জনসংখ্যা ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ১৪৪। যার মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৩৪৯ এবং নারী ১৫ লাখ ৫১ লাখ ৬৬৭ জন।
ধর্মভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমানে যশোরের মোট জনসংখ্যার ৮৯.৬২ শতাংশ মুসলিম, ১০.১৯ শতাংশ সনাতন, ০.০১ শতাংশ বৌদ্ধ, ০.১৭ শতাংশ খ্রিস্টান এবং ০.০১ শতাংশ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।
যশোর জেলার গড় বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়ে ০.৯৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১১ সালে ছিলো ১.১১ শতাংশ।
পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক বাস্তবায়িত দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনায় যশোর জেলার প্রকাশিত রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক উর্ব্বশী গোস্বামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার।
এ সময় তিনি বলেন, প্রথম ডিজিটাল জনশুমারিতে যশোরের শিক্ষা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সটিক চিত্র উঠে এসেছে। মানুষের মধ্যে উন্নয়ন অগ্রগতি নিয়ে যে বিভ্রান্তি ছিল এই জনশুমারি তথ্যের মাধ্যমে তা দূর হবে। সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
শুমারির তথ্যমতে যশোর জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১৮০ জন। জেলার মোট খানার সংখ্যা সাত লাখ ৯৮ হাজার ৩২। যার মধ্যে ছয় লাখ ১৩ হাজার ৪৮টি পল্লী এলাকায় ও এক লাখ ৮৪ হাজার ৯৮৪টি শহর এলাকায় অবস্থিত। যশোর জেলায় বর্তমানে খানার গড় আকার ৩.৭৯ যা ১৯৯১ সালে ছিলো ৫.৫০ এবং ২০১১ সালে ছিলো ৪.১৭। অপরদিকে, যশোর জেলায় বর্তমানে বাসগৃহের সংখ্যা সাত লাখ ৫০ হাজার ২১০, যার মধ্যে ছয় লাখ ছয় হাজার ৬৫০টি পল্লী এলাকায় এবং এক লাখ ৪৩ হাজার ৫৬০টি শহর এলাকায় অবস্থিত।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর জেলায় সাত বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৭৭.০৭ শতাংশ। পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে এ হার যথাক্রমে ৭৯.৬৭ শতাংশ ও ৭৪.৫৪ শতাংশ। যশোর জেলায় ১০ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে কাজে নিয়োজিত ৩৮.৩৮ শতাংশ, গৃহস্থালী কাজে নিয়োজিত ৩৪.৪৯ শতাংশ, বর্তমানে কাজ খুঁজছে ১.৩১ শতাংশ এবং ২৫.৮২ শতাংশ কোনো কাজ করছে না। অপরদিকে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৬৮.৩৫ শতাংশের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য মোবাইল ফোন রয়েছে এবং ৩৩.৮২ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। যশোর জেলার অধিকাংশ খানা (৯৭.৫২%) খাবার পানির উৎস হিসেবে গভীর/অগভীর টিউবওয়েল এর পানি ব্যবহার করে। এছাড়া ২.১৫ শতাংশের খাবার পানির উৎস ট্যাপ/পাইপ (সাপ্লাই)। যশোর জেলায় ৬৫.৬২ শতাংশ খানা টয়লেট ব্যবহারের পর ফ্লাশ করে/পানি ঢেলে নিরাপদ নিষ্কাশন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম শাহীন, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস এবং সদর উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নীলা প্রিয়া ময়ূর।
স্বাআলো/এস