যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অডিট অফিসার আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
হিসাব শাখা ছাড়া অন্য কোনো কাজে তাকে আর দেখতে চায় না সাধারণ কর্মচারীরা। সেই সাথে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তার প্রেষণ বাতিলের দাবি করেছেন তারা।
অভিযোগে জানা গেছে, আব্দুল করিম অডিট অফিসার। তার হিসাব শাখার কাজের পাশাপাশি শিক্ষাবোর্ডের অভ্যন্তরীণ অনেক কাজ তিনি করেন। শিক্ষাবোর্ডের কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণ দেয়ার কর্মচারীদের সাথে তিনি খুবই খারাপ আচরণ করেন।
সম্প্রতি গত ২৭ সেপ্টেম্বর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা বিতরণের কাজে দায়িত্ব পালনকারী সাধারণ কর্মচারী আব্দুল জলিলের স্ত্রীর খাতা তাৎক্ষণিক পৌঁছে দেয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে উচ্চস্বরে গালিগালাজ করেন এবং খাতা ছিড়ে ফেলার কথা বলেন। যেটা উপস্থিত অনেক শিক্ষক প্রত্যক্ষ করেন। অডিট অফিসারের এ রকম ঔদ্ধত্বপূর্ণ ও সন্ত্রাসীসূলভ আচরণে রীতিমতো অবাক হন।
আব্দুল জলিল একজন সৎ, যোগ্য ও দক্ষ কর্মচারী হিসেবে দীর্ঘদিন পরীক্ষা বিভাগে খাতা বিতরণের কাজ করে আসছেন। যা স্বল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে বোর্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রশংসনীয়। অডিট অফিসারের এ ধরণের কর্মকাণ্ডের জন্য শিক্ষাবোর্ডে সকল গ্রেডের কর্মচারীরা বিরক্ত। আব্দুল করিম আচারণ ও কথাবার্তার মাধ্যমে বোর্ডের স্বাভাবিক কর্ম পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি অডিট অফিসার আব্দুল করিমকে শিক্ষাবোর্ডের নিরীক্ষণ ছাড়া সকল সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে শিক্ষাবোর্ডের সচিব প্রফেসর আব্দুল রহিম বলেন, অডিট অফিসার আব্দুল করিমের সাথে কর্মচারীদের একটি ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি আমি শুনেছি। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে আমরা অবহিত করবো।
শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবিব বলেন, অডিট অফিসার আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে কর্মচারীরা। বিষয়টি তদন্তপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাআলো/এসএ