জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: জেলার মুকসুদপুর উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারকৃত পাঁচ শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে মুকসুদপুর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা রোজী তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, শিক্ষক ইসমাইল হোসাইন, আওলাদ ওরফে আসাদুজ্জামান (৪৭), মাছুম বিল্লাহ (৩৫), আল আমিন (২৫) ও আমেনা বেগম (৩০)। মামলার আসামিদের মধ্যে আরেক শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজু পলাতক রয়েছেন।
মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামির ৪ দিনের রিমান্ড
জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি মুকসুদপুর উপজেলার একটি মহিলা কওমী মাদরাসায় ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন শিক্ষক ইসমাইল হোসাইন।
এরপর অসুস্থ অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় ওই শিক্ষার্থীকে গোপনে একটি কক্ষে রেখে দেন। ৭ ফেব্রুয়ারি পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানার পর মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মাদরাসার ছয় শিক্ষককে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই অভিযান চালিয়ে মাদরাসা শিক্ষক আমেনা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নড়াইলে বাড়ি ফেরার পথে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
এর আগে, বুধবার রাতে আটক চার শিক্ষককে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, মামলার পর রাতে অভিযান চালিয়ে আরেক শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। মামলায় একজন পলাতক আছে।
স্বাআলো/এসআর