জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী: জেলার সুবর্ণচরে সিঁধ কেটে মা-মেয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী গৃহবধূর বরাত দিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
এর আগে, সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত গৃহবধূর বয়স (৩০) ও তার মেয়ের বয়স (১২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী পেশায় একজন দিনমজুর। সে ৩-৪ দিন পর পর বাড়িতে আসে। তাকে কাজের জন্য প্রায় বাহিরে থাকতে হয়। ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাষ্যমতে এ সুযোগে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার মধ্যে তার বসত ঘরের সিঁধ কেটে তাকে এবং তার মেয়েকে ধর্ষণ করে তিন ধর্ষক। এর মধ্যে তাকে ধর্ষণ করে দুই ধর্ষক ও তার মেয়েকে ধর্ষণ করে এক ধর্ষক।
গৃহবধুকে দলবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনের যাবজ্জীবন
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু দিন আগে নির্যাতিত গৃহবধূ নতুন এ বাড়িতে উঠে। ওই বাড়িতে সিঁধ কেটে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গৃহবধূ ও তার মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে পুলিশ অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন নোয়াখালীল সুবর্ণচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সোমবার বেলা ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস ওই দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সাথে তাদের অর্থদণ্ডও করা হয়। এ উপজেলা গণধর্ষণের জন্য দেশব্যাপী বারবার আলোচনায় আসছে।
স্বাআলো/এস