নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
রোববার (২২ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়ির দীঘি থেকে নিহত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম কামরুল হাসান (৩৮)। তিনি বারগাঁও গ্রামের মৃত মোস্তফা মেম্বারের ছেলে এবং পেশায় কৃষক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কামরুল হাসান গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার রাতেই তার পরিবার মৌখিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। রোববার দুপুরে স্থানীয়রা তার বাড়ি থেকে প্রায় তিন মাইল দূরে চৌধুরী বাড়ির দীঘিতে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। মরদেহের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ডোবাটিতে হাঁটু সমান পানি থাকায় সেখানে ডুবে মৃত্যুর সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। নিহত কামরুল সাঁতার জানতেন বলেও জানান তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, হত্যার পর মরদেহ দীঘিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। মরদেহ বেশি সময় পানিতে থাকায় চামড়া উঠে গেছে, ফলে আঘাতের চিহ্ন বোঝা কিছুটা কঠিন হয়েছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ বলছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত চলছে।