পবিত্র ঈদুল আজহার আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস ছিল আজ বুধবার (৪ জুন)। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে তাদের টানা ১০ দিনের ছুটি।
ঈদের আগে শেষ কার্যদিবসে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়সহ দেশের সব সরকারি দপ্তর ছিল স্বাভাবিক ও কর্মচঞ্চল। অন্যান্য দিনের মতোই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্ধারিত সময়ে অফিসে উপস্থিত হয়ে কাজ করেছেন। দপ্তরগুলোতে উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বুধবার সকালে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাভাবিকভাবে কাজ করছেন। সচিবালয়ের গাড়ি রাখার স্থানগুলোও অন্যান্য দিনের মতো গাড়িতে পূর্ণ ছিল।
ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস হওয়ায় অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। এছাড়াও লিফট চালক ও নিরাপত্তা কর্মীরাও কর্মকর্তা ও সচিবালয়ে আসা অতিথিদের কাছ থেকে ঈদের বকশিশ আদায় করতে তৎপর ছিলেন। সচিবালয়ের এক নম্বর ও দুই নম্বর গেটের মাঝখানে অতিথি অভ্যর্থনা কক্ষেও দর্শনার্থীদের স্বাভাবিক আনাগোনা দেখা গেছে।
গ্রামের বাড়িতে থাকা প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সাধারণত বিপুল সংখ্যক মানুষ রাজধানী ছাড়েন। যে সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী দূর-দূরান্তে ঈদ উদযাপন করবেন, তাদের অনেকেই আজ অফিস শেষ করেই নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ জুন দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১১ ও ১২ জুন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর ফলে সাপ্তাহিক ছুটি, ঈদের ছুটি এবং নির্বাহী আদেশের ছুটি মিলিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের দীর্ঘ ছুটি পাচ্ছেন। এই দীর্ঘ ছুটির সমন্বয়ের জন্য সরকার গত ১৭ ও ২৪ মে দুটি সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও সরকারি অফিস খোলা রেখেছিল।
স্বাআলো/এস