নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের চৌগাছায় শিশু (১১) ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে। এঘটনায় ধর্ষক রবিউল ইসলামকে (৪৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২২এপ্রিল) উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে। মেয়েটি একই আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশাপাশি ঘরের বাসিন্দা।
ধর্ষক রবিউল উপজেলার পাতিবিলা ইউনিয়নের বড় নিয়ামতপুর গ্রামের ছেলে।
শিশুটির মা ও বাবার উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভিকটিম মেয়েটির ও ধর্ষক রবিউল ইসলামের ঘর পাশাপাশি। সোমবার রবিউলের স্ত্রী ও ভিকটিম রবিউলের ঘরের বারান্দায় শুয়ে ঘুমাচ্ছিলো।
আসামি রবিউল একই ঘরের ভেতরে শোয়া ছিলো। রবিউলের স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে রবিউল ভিকটিম শিশুটিকে মোবাইলের নাম্বার বের করার কথা বলে ডেকে ঘরের ভিতরে নেয়। সেখানে শিশুটির মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক তার প্যান্ট খুলে ধর্ষণ করে। এতে শিশুটি রক্তক্ষরণ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। নিজেদের ঘরে গিয়ে ঘটনাটি তার মাকে জাপটে ধরে বিষয়টি জানায়। ঘটনা জানার পর শিশুটির মা ও বাবা রবিউলের ঘরে এসে তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে দেখান। এসময় ধর্ষক রবিউল ইসলামের সাথে শিশুটির বাবা-মায়ের ধস্তাধস্তি হয় এবং আশ্রয়ণের অন্যরা তাকে আটকে রাখেন।
পরে চৌগাছা থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষিতা শিশু উদ্ধার ও ধর্ষক রবিউল ইসলামকে আটক করে ৫০ চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিশুটি ধর্ষিত হওয়ার আলামত পান এবং তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) রেফার্ড করেন। ধর্ষক রবিউল ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নেয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. খন্দকার জুলকার ইসলাম বলেন, শিশুটিকে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ওসিসিতে রেফার্ড করা হয়েছে। আর ধর্ষকের তেমন কিছু হয়নি। সে কিছুটা ভান ধরছে। তাকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চৌগাছা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আসামী রবিউল ইসলামকে মঙ্গলবার যশোর আদালতে পাঠানো হবে।
শিশুটির মা ও বাবা বলেন, আমরা এ ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার চাই। তার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই। আমাদের নিশ্পাপ শিশু মেয়েটির যে সর্বনাশ সে করেছে, তার শাস্তি দেখে আর কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।
স্বাআলো/এস