ফরিদপুরের কানাইপুর এলাকায় বাস ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জন হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত অন্য তিনজন ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে দুর্ঘটনার খবরে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের কানাইপুরের অ্যাবলুম রেস্টুরেন্টের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতদের সবাই জেলার বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, ইউনিক পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে যশোরের দিকে যাচ্ছিলো আর পিকআপভ্যানটি আলফাডাঙ্গা ও বোয়ালমারী থেকে ফরিদপুর শহরের দিকে যাচ্ছিলো। হঠাৎ শব্দ পেয়ে রাস্তায় দৌড়ে এসে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার দৃশ্য দেখতে পাই।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, নিহত ও আহতদের বাড়ি বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায়। এর মধ্যে আলফাডাঙ্গা এ জেড পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদ স্যারের মা, বড় মেয়ে, স্যারের ভাই মিলন, মিলনের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েসহ ছয় সদস্য ছিলো। তাদের পাঁচজনই ঘটনাস্থলে মারা গেছেন।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হয়েছেন। পরে আরো তিনজন মারা যান। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্বাআলো/এস