যশোর মেডিকেল কলেজের (যমেক) একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ফেরাতে ২১ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয়া হয়েছে। অননুমোদিত অনুপস্থিতির বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের অধ্যক্ষ আবু হাসনাত আহসান হাবিবের নির্দেশে গত অক্টোবর মাসজুড়ে শিক্ষকদের কর্মস্থলে উপস্থিতিসহ সকল কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করা হয়।
বায়োমেট্রিক হাজিরা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কর্তৃপক্ষের অনুমতি এবং অনুমোদন ছাড়াই ২১ জন শিক্ষক অব্যাহতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, সহযোগী অধ্যাপক ৭ জন, সহকারী অধ্যাপক ৬ জন ও প্রভাষক ৮ জন। অফিস ফাঁকির তালিকায় দুইজন কর্মচারীর নামও এসেছে।
প্রাথমিক ধাপে ৭ নভেম্বর প্রত্যেককে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়। শোকজের জবাব তিন কর্মদিবসের মধ্যে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লিখিত জবাব পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অধ্যক্ষ আবু হাসনাত আহসান হাবিব বলেন, কতিপয় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর অব্যাহত অননুমোদিত অনুপস্থিতির কারণে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শোকজ করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। লিখিত জবাব পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, কলেজের একাডেমিক অর্থাৎ পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে এবং হাসপাতালে আগত মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হবে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়মগুলো নিরসন করতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। সবার সহযোগিতা এবং সমর্থন পেলে কলেজে সব কার্যক্রমে শৃঙ্খলা সম্মুন্নত থাকাসহ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবাও নিশ্চিত হবে।
অধ্যক্ষ আবু হাসনাত আহসান হাবিব বলেন, শিক্ষকদের অফিস ফাঁকির কারণে কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে কলেজের সুনাম ক্ষুণ্ণ হবে। তাই শিক্ষকদের অনিয়ম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
স্বাআলো/এসএ