আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীরা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে যেভাবে পুলিশ মেরেছিলো সেভাবেই ২৮ অক্টোবর বিএনপির চরিত্র ফুটে উঠেছে। আরেকটি দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় নিরীহ মানুষ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের ওপর যেভাবে হামলা চালাচ্ছে গত ২৮ অক্টোবর রাজারবাগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মানুষের ওপরে সেভাবে হামলা চালিয়ে জ্বালাও পোড়াও করে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে বিএনপি। দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে একসময় খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিলো বিএনপি। তাদের হাত থেকে বাঁচতে পারেনি হুমায়ুন কবির বালু, সামসুর রহমানসহ সাংবাদিকরাও।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে ফজলুল হক এতে সভাপতিত্ব করেন।
আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, যত ষড়যন্ত্র আসুক না কেন যথাসময়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করবে না বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করতে হবে। বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দুইটা চরিত্র ফুটে উঠেছে।
কামাল হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশের ৫ কোটি মানুষকে টিসিবির মাধ্যমে খাদ্যপণ্য দিচ্ছেন। পাঁচ লাখ মানুষকে বিভিন্ন ভাতা প্রদান করছেন। বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছেন। পদ্মা সেতু দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের আশীর্বাদ হিসেবে নির্মিত হয়েছে। যা এই অঞ্চলের মানুষকে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ খুব সহজে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে সহায়তা করছে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার করতে হবে প্রতিপক্ষ হয়ে নয়, একজন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে। মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে সরকারের উন্নয়ন বার্তা।
তিনি বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর খুলনার সার্কিট হাউজ মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিশাল জনসভা। সেই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভা সাফল্যমণ্ডিত করতে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিত থাকতে হবে।
স্বাআলো/এসএ