আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি, প্রধান বিরোধী দল লেবারপার্টিসহ অন্তত আটটি রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থীদের তালিকায় রেখেছে এক/একাধিক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিককে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ২৭ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগারিক। তাদের সঙ্গে অন্তত আরো ১১ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন নির্দলীয় বা স্বতন্ত প্রার্থী হিসেবে।
‘যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের চেয়েও বেশি খাবার নষ্ট করে বাংলাদেশিরা’
এবারের নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১২ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। তাদের মধ্যে চারজনকে পুনঃমনোনয়ন দিয়েছে দলটি। এরা হলেন— রুশনারা আলী (আসন : বেন্থাল গ্রিন এবং স্টেপনি), রুপা হক (আসন : ইলিং সেন্ট্রাল এবং অ্যাকটন), টিউলিপ সিদ্দিকী (আসন : হ্যাম্পস্টেড এবং কিলবার্ন) এবং আফসানা বেগম (আসন : পপলার এবং লাইমহাউস)।
বাকি আট প্রার্থীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রুমি চৌধুরী (আসন : উইথাম), রাফিয়া আশরাফ (আসন : দক্ষিণ নর্দাম্পটনশায়ার), নুরুল হক আলী (গর্ডন এবং বুচান) এবং নাজমুল হোসাইন (আসন : ব্রিগ এবং ইমিংহ্যাম)
ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেন: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীদের সংখ্যার তালিকায় লেবার পার্টির পরেই অবস্থান করছে ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেন। এবারের নির্বাচনে মোট ছয়জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রার্থী হিসেবে। এরা হলেন— গোলাম টিপু (আসন: দক্ষিণ ইলফোর্ড) , প্রিন্স সাদিক চৌধুরী (আসন : বেডফোর্ড), মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন (আসন : দক্ষিণ হ্যাকনি), ফয়সাল কবির (আসন অ্যালট্রিনশাম এবং সেল) মোহাম্মদ বিলাল (ম্যানচেস্টার রুশোলমি) এবং হালিমা খান (আসন : স্ট্র্যাটফোর্ড এবং বো)।
ভেঙে দেয়া হলো যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট
কনজারভেটিভ পার্টি: ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি তাদের প্রার্থীদের তালিকায় দুইজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশকে রেখেছে। এরা হলেন— আতিক রহমান (আসন : টটেনহাম, উত্তর লন্ডন) এবং সৈয়দ সাঈদুজ্জামান (আসন: দক্ষিণ ইলফোর্ড)।
পরিবেশবাদী রাজনৈতিক দল গ্রিন পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ রয়েছেন। এরা হলেন— সাঈদ সিদ্দিকী (আসন : দক্ষিণ ইলফোর্ড), সৈয়দ শামসুজ্জামান শামস (আসন : পশ্চিম ওল্ডহ্যাম এবং রয়টোন) এবং শারমিন রহমান (আসন : দক্ষিণ লিসেস্টার)।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে রিফর্ম পার্টি, লিবারেল ডেমোক্যাটস, সোশ্যালিস্ট পার্টি এবং স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি তাদের প্রার্থীর তালিকায় একজন করে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশকে রেখেছে। এই প্রার্থীরা হলেন – রাজ ফরহাদ (রিফর্ম পার্টি, আসন : দক্ষিণ ইলফোর্ড), রুবিনা খান (লিবারেল ডেমোক্র্যাটস, আসন : বেন্থাল গ্রিন এবং বো), নাজ আনিস মিয়া (স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি, আসন : ডানফারমলাইন এবং ডলার) এবং মুমতাজ খানম (সোশ্যালিস্ট পার্টি, আসন ফোকস্টোন)।
এই ২৭ জন প্রার্থীর বাইরে ওয়াইস ইসলাম, আজমল মাশরুর, সুমন আহমেদ, এহতেশামুল হক, ওমর ফারুক, নিজাম উদ্দিনসহ ১১ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নির্দলীয় বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন আসানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের পার্লামেন্ট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট; নিম্নকক্ষের নাম হাউস অব কমন্স এবং উচ্চকক্ষের নাম হাউস অব লর্ডস। হাউস অব কমন্সের সদস্যদের নির্বাচনের নির্বাচনের ভিত্তিতে এমপি হতে হয়।
নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের মোট আসনসংখ্যা ৬৫০টি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট চার হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী। অর্থাৎ গড় হিসেবে প্রতিটি আসনের জন্য লড়াই করছেন অন্তত পাঁচজন থেকে ১৩ জন প্রার্থী।
স্বাআলো/এস