বাগেরহাটের মোংলায় গৃহবধূকে ধর্ষণ ও নগ্ন ভিডিও ধারণের মামলার অন্যতম আসামি রফিকুল ইসলামকে (২৫) চট্রগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
খুলনা র্যাব-৬ গোপন খবরের ভিত্তিতে এবং চট্রগ্রাম র্যাব-৭’র সহযোগিতায় শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর কসাই গলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রফিকুলকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রফিকুল মোংলা পৌরসভাধীন মোর্শেদ সড়কের বাসিন্দা।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে খুলনা র্যাব-৬।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ধর্ষণের স্বীকার নারী পেশায় একজন গৃহিণী এবং দর্জি। গত ২৮ জুলাই তারিখ দিবাগত রাতে ভিকটিম তার ভাড়াকৃত বাসায় ঈদ উপলেক্ষে দর্জির কাজ করার সময় আসামি রফিকুল ও তার সহযোগী হঠাৎ করে তার দোকানের ভেতর প্রবেশ করে। তখন ভিকটিম কোনো কিছু বুঝে উঠার আগে উল্লেখিত আসামি ও তার সহযোগী এলোপাতাড়িভাবে কিল ঘুষি, লাথি মারতে থাকে । এসময় ভিকটিম চিৎকার করার চেষ্টা করলে আসামি ও তার সহযোগী তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক টেইলার্সের পাশের রুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে আসামিরা পরস্পরের সহযোগিতায় ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। আসামিরা ধর্ষণ করার পর ভিকটিমকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায় এবং বলে এই বিষয়ে কাউকে কিছু বললে উক্ত ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেবে ও ভিকটিমকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে বলবে চলে যায়। পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে স্থানীয় ডাক্তার দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা করান। পরে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মোংলা থানায় উক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-৬ এর আভিযানিক দল ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ধর্ষণের সাথে জড়িত আসামিদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। একপর্যায়ে র্যাব গোয়েন্দা সূত্র ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জানতে পারে উক্ত মামলার আসামি রফিকুল চট্রগ্রাম মহানগরীর কসাই গলি এলাকায় অবস্থান করছে। এক পর্যায়ে শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এর সহযোগিতায় রফিকুলকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে শনিবার দুপুরের পর মোংলা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
স্বাআলো/এসএ